নাইক্ষ্যছড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)'র সাথে সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে ২৭ কলেজ শিক্ষকের দাবী আদায়ের বৈঠক। ফলে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করেন কলেজ ক্যাম্পাস মিলনায়তনে। বৃহস্পতিবার (১২ মে)বেলা সাড়ে ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে টানা ১ ঘন্ট বৈঠকে দাবী আদায় না হওয়ায় এ কর্মসূর্চি ঘোষনা করেন শিক্ষক পরিষদ।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আলম বলেন,উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী কালাম সরকারী ডিগ্রি কলেজটি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকরা যুগের অধিক ধরে বিনা বেতনে চাকরি করেছেন। ফান্ডে টাকা না থাকায় বেতন-ভাতা তারা নেন নি সে সময়। এখন সব আছে।
ফান্ডে প্রায় ৪২ লাখ টাকা স্থিতি আছে। তাদের ৭৫℅ বেতন দিলে ব্যয় হবে মাত্র সাড়ে ৭ লাখ টাকা। কলেজের ক্ষতি হবে না। কিন্ত বেতন পাচ্ছেন না তারা। কেন পাবেন না এ বেতন? এ-টি তো যৈাক্তিক দাবী।
তিনি আরো বলেন,এ অবস্থায় তারা কলেজ অধ্যক্ষ স্যারকে অনুনয়-বিনয় করে বুঝিয়েছেন-তবু ঈদের আগে ঈদ বোনাস পান নি তারা।
নিগৃহিত পরিবারের সদস্যদের কাছে অপমানিত এ সব শিক্ষকরা শেষাবধি কর্মসূচিতে যান গত্যান্তর না দেখে। এ কারণে
গত শনিবার (৭ মে) সকাল থেকে ক্লাস করা থেকে বিরত থাকেন। রোববার দুপুরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিতের এ ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। আর মঙ্গলবার কাজে যোগ দেন যথারীতি।
আর বৃহস্পতিবার(১২ মে) ইউএনও'র সাথে বৈঠকে তাদের দাবী পূরণ না হওয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করেন
পূনরায়। যাতে শুধু ক্লাস বর্জন নয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহনেও বিরত থাকবেন তারা।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম বলেন,শিক্ষকদের দাবী যৌক্তিক। কিন্ত ক্লাস বর্নের মতো কর্মসূচি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কলেজের অর্থ ও অন্যান্য বিষয়ের মনিটরিং এ দায়িত্বরত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৈস বলেন,স্ট্যান্ডিং কমিটির রেজুলেশন নেই আর ৭৫% বোনাসে সরকারী সিদ্ধান্তও নেই, তাই
তিনি নিজ থেকে এ ঈদ বোনাস দিতে পারেন না। যে বিষয়টি তিনি বান্দরবান জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
উল্লেখ্যঃ গেল ঈদে নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারী ডিগ্রি কলেজের ২৭ শিক্ষক বেসরকারী ঈদ বোনাস পান নি। এর আগে এ বোনাস পেয়েছিলেন দাবী তাদের। ঈদের আগে বেতনের সরকারী অংশ ও পান নি তারা অন্যান্যদের মতো। এ দূরবস্থায় গত শনিবার তারা কর্মবিরতি ঘোষনা দিলে রোববার ইউএনও'স্যারের প্রতিনিধির মাধ্যমে আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার তাদের কোন দাবী পূরণ না হওয়ায় তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষনা ঘোষনা করেন ।