আসন্ন ঈদুল আজহা তথা কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আসছে নানা জাতের পশু ও মাদকদ্রব্য।
তারই অংশ হিসেবে শনিবার (৩ জুলাই) ভোর রাত সাড়ে ৪ টায় ১১ বিজিবি জব্দ করে ১৪টি মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আনা গরু। এর আগে সীমান্তের ১১ ও ৫৭ বিজিবি আর লামা উপজেলা প্রশাসন ১১৭ টি চোরাই গরু জব্দ করেছিলেন । এতে স্পষ্ট হয়ে যায় সীমান্ত পার হয়ে স্রোতের মতো কুরবানীর পশু ও বিভিন্ন প্রকার মাদক পণ্য আসছে বাংলাদেশে।
স্থানীয়রা জানান,সীমান্তের আলীকদমের ৪ টি পয়েন্ট, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৫৬ থেকে ৩৫ নম্বর পিলারের ২০টির অধিক পয়েন্ট দিয়ে চোরাই পণ্য আসছে ঈদকে সামনে রেখে। যা সীমান্ত রক্ষীদের ফাকিঁ দিয়েই। তবে বিজি্বিও বসে থাকেন নি। তারা ও কঠোর অবস্থানে।
মৎস ও প্রাণিসম্পাদ মন্ত্রনালয় সূত্র মতে এ বছর চাহিদার চাইতে অতিরিক্ত সাড়ে ২৩ লাখ কুরবানীর পশু থেকে যাবে। যা নিয়ে খামারীরা দারুণ দূঃচিন্তায় এমনিতেই।
এরই মধ্যে সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু পাচার হয়ে আসার খবরে তারা তটস্থ।
এসব কারণে সীমান্তের ১০ উপজেলার খামারীদের দাবী, চোরাইপথ দিয়ে কুরবানীর পশু দেশে ঢুকলে তারা খুবই সমস্যায় পড়বেন। ঋণগ্রস্ত হবেন,দেশের খামারী খাত ধ্বংস হয়ে পড়বে। তাই পুরো সীমান্ত সীলগালা করে রাখা দরকার জরুরীভাবে। আর চোরাইকারবারীদের শাস্তির আওতায় এনে সীমান্ত বন্ধ করা সময়েন দাবী বলে উল্লেখ করেন সচেতন মহল।
বিজিবি'র একাধিক সূত্র জানান,বছরের অন্যান্য সময় চোরাকারবারীরা তৎপরতা চালাতো অতি নগণ্য। এখন কুরবানীর ঈদ কে সামনে রেখে তারা বেপরোয়া হলেও বিজি্বি কঠোরতা অবলম্বন করছেন। যেন চোরাই পথ দিয়ে কিছুই আসতে না পারে।
তারা রাত দিন পাহারা দিচ্ছে পুরো এলাকা। তবে বৃষ্টির দিনে গহীন জঙ্গলাকীর্ণ পথ পেরিয়ে কিছু পশু আসলেও তা বিজিবি সাথে সাথে জব্দ করে কাস্টমসে জমা দিচ্ছে। রোববার জব্দ করা ১৪ টি গরুও কাস্টমস এ জমা দেয়া হয়েছে। যা প্রকাশ্যে নিলাম দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে কর্ণেল রেজাউল করিম বলেন,সীমান্তের ফুলতলী পয়েন্টের লম্বা শিয়ার লেবু তলী থেকে ১৪ টি চোরাই পথের গরু জব্দ করে কাস্টমস এ জমা দেয়া হয়েছে। তারা আইনী ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আর সীমান্তে চোরাচালান রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেন কোন চোরাই পণ্য প্রবেশ করতে না পারে।