নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে পরপর মর্টাশেলের বিকট শব্দ এসেছে সীমান্ত এলাকায়।
বুধবার (৮ জানুয়ারী) সকাল ৭টা ৪০মিনিটের সময় ৪২ ও ৪৩ নং সীমান্ত পিলারের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে এ বিস্ফোরণের শব্দ আসে বলে জানান কাঠুবিয়া শফিক আহমদ ও গুরা মিয়া।
তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিনকার ন্যায় সীমান্তের এ পয়েন্টে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে লাকড়ি সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন।গন্তব্যস্থলে পৌঁছার আগেই আধাঘন্টার সময়ের মধ্যে ১৫ বড়সড় আওয়াজের এ বিষ্ফোরণে তারা ভয় পেয়ে ফিরে আসেন সেখান থেকে।
তাদের ধারণা,বিষ্ফোরণের শব্দ মর্টারশেলের। যা দু'দল মূখোমূখি হলে পরস্পরকে ঘায়েল করতে ব্যবহার করা হয় বলে ধারণা করা হয়।
সুত্রে জানান,মিয়ানমারের রাখাইন সংঘাতে স্বশস্ত্র যুদ্ধরত আরকান আর্মি ও অপর বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এ
অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায় নি।
এদিকে সীমান্তের ৪৮-৪৯ নম্বর পিলারের ওপারে বেন্ডুলা বাজার এলাকায় আরকান আর্মির দক্ষিনাঞ্চলীয় কমান্ডারদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে সীমান্ত চোরাকারবারী একটি সূত্র নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আরো বলেন,বৈঠকে রোববার দিন সীমান্ত চোরাকারবার বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা। এছাড়া সীমান্তে দখলে থাকা চৌকি গুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেন তারা। যাতে জান্তা বাহিনী কতৃক যুদ্ধ বিমান থেকে গোলাবর্ষণের বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন অধিনস্থদের।