বাংলাদেশ -মিয়ামারের সীমান্তের ঘুমধুম থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি পযর্ন্ত সনিবার ভোর থেকে রাত ৮টা পযর্ন্ত কোন প্রকার বিস্ফোরণের শব্দ মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে আসেনি বলে সুত্রে জানা গেছে। সীমান্তের কাছে বসবাসকারী,ঘুমধুমের ইউপি সদস্য মোঃ আলম,তমব্রুর ব্যাবসায়ী সরোয়ার,জামছড়ির কৃষক মোঃ আব্দু রহমান,চাকঢালার ব্যাবসায়ী মোঃ করিম জানান,আমরা যারা সীমান্তের কাছাকাছি থাকি শনিবারের মত প্রতিদিন এ রক বিস্ফোরণ মুক্ত দিন আমাদের কাম্য। বিগত দুই মাসের অধিক সময় পযর্ন্ত চলে আসা মিয়ানমারের ভিতরে আরকান আর্মি বনাম সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বর্তমানেও চলমান সংঘর্ষের কারণে তার প্রভাব পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের প্রায় ৩২ কিলোমিটার জুড়ে। আবার সে দেশের ব্যবহারিত গোলাবারুদ বাংলাদেশের ভিতরে এসে পড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান,ফাইটার হেলিকপ্টার,এবং ড্রোন আন্তর্জাতিক সীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার মাঝে সীমান্তে ঐ দেশের সেনাবাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, সীমান্ত এলাকার তমব্রু বাজারের সেলিম বলেন, দিনের বেলায় হর হামেসা বিস্ফোরণের আওয়াজ তো আসেই?আবার গভীর রাতে যখন সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি মিয়ানমারের যুদ্ধ হেলিকপ্টার এসে মহড়া দেয় তখন আমরা ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়ি। জামছড়ির কাদের বলেন সীমান্তের কাছাকাছি বিভিন্ন চাষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করি,যদি গন্ডগোলের আওয়াজ অব্যাহত থাকে ভয়ে ক্ষেত খামারের কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় আমার মত অনেকের তাই তার কামনা, সীমান্তের গন্ডগোল মুক্ত পরিবেশ।