তীব্র তাপদাহে নাকাল পার্বত্য বান্দরবানের লামা-আলীকদম সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন। প্রকৃতিতে যেন গ্রীষ্মের তাপদাহ চলছে। তবে আমাদের দেশে লোডশেডিং একটি নিত্যঘটনা। আমরা জানি যে, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সরবরাহ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত রাখাকে লোডশেডিং বলে। এই ভ্যাপসা গরমে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জন জীবন। শহরাঞ্চলে বিদ্যুতের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসে না। শহর-নগর থেকে গ্রাম-জনপদ সর্বত্রই হঠাৎ এ বিদ্যুৎ সংকট। এ গরমে টিকে থাকা যেন কঠিন হয়ে পড়েছে আর এতেই শুরু হয়ে গেছে অসহনীয় লোডশেডিং। নেই কোনো শিডিউল। ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ নিচ্ছে আর দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে দিনরাত মিলে ৪-৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এতে করে লেখাপড়াসহ মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের অভাবে ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না। এছাড়াও কৃষকরা মাঠে তাদের জমিতে পরিমিত পরিমাণে সেচ দিতে পারছে না। ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যায়। বাসায় বয়স্ক লোক এবং বাচ্চাদেরও অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। বলতে গেলে সর্বস্তরের মানুষই লোডশেডিংয়ের দুঃসহ-যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে। একদিকে এতো গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন অন্যদিকে এমন লোডশেডিং বিড়ম্বনা। দিনের বেলা লোডশেডিং মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু রাতের বেলা এ লোডশেডিং কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ নিমিষেই অসুস্থ হয়ে পরবে। আর এবারের লোডশেডিং যেন অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি এমনকি তাপমাত্রা কম থাকলে ও থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।এদিকে লামা আলীকদমের চিত্র ভিন্ন প্রায় সময় লামা-চকোরিয়া রোড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় বিদুৎতের খুটি ভেংগে পড়া,গাছ পালা ভেংগে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় বিদুৎ সংযোগ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছে যাচ্ছে লামা বিদুৎ অফিস।লোডশেডিং বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই বিষয়ে জানতে চাইলে উপ- সহকারী প্রৌকশলী(লামা বিদুৎ সরবরাহ)মো.আরিফুল ইসলাম জানান,লামা আলীকদমে আমাদের সর্বমোট আটটি ফিটার রয়েছে যার চাহিদা দৈনিক পিক আওয়ারে ৪.৫ মেগাওয়াড প্রায় সময় আমরা ফুল ফিডার চালু রাখতে পারি তবে সন্ধার সময় পিক আওয়ারে(৫-১১ টা পর্যন্ত)১.৫ মেগাওয়াডের মত লোডশেডিং করতে হয়।তবে পিক আওয়ারে প্রায় প্রতিদিন ১.৫ মেগাওয়াডের মত বিদুৎ ঘাটতি থাকে,যা দেশে বিদুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হয়ে গেলে পূরুন করা সম্বভ।