নাইক্ষ্যংছড়ি -মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ৩৪ নাম্বার সীমান্ত পিলার থেকে শুরু করে ৫৫ নং সীমান্ত পিলার দৌছড়ি ইউনিয়নের টারগুছড়া পযর্ন্ত প্রায় ৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের। ঐ সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে বতর্মানে সরকার নিয়ন্ত্রিত কোন বাহিনীর অস্তিত্ব নেই।বিগত সময়ে মিয়ানমার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা সীমান্ত এলাকা বর্তমানে মিয়ানমার সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে সীমান্ত লাগুয়া বসবাসকারী সাধারণ মানুষের কাছে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, যেহেতু বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে মিয়ানমার সরকার নিয়ন্ত্রিত আগেকার কোন বাহিনীর অস্তিত্বই নেই তার পরেও মাঝেমধ্যে রাতে এবং দিনের বেলায় প্রচুর গোলাগুলির শব্দ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অংশে শোনা যায় কেন?। সীমান্ত এলাকার মোঃ হাসেম,মোঃ রহমান,ফয়েজ উল্লার ধারণা, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা মিয়ানমারের ভিতরের দিকে ১৮ কিলোমিটার পযর্ন্ত মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঠিকতে না পেরে পিছু হটেছে। চলতি সময়ে হয়তো মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার অংশে জান্তা সরকার সমর্থিত কোন বিদ্রোহী সংগঠনের অস্তিত্ব সৃষ্টি হয়েছে তারাই মাঝে মধ্যে বিদ্রোহী আরকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন ঐ সংঘর্ষে ব্যবহারিত বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ এবং গুলির শব্দ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শুনতে পান সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষেরা। সীমান্ত এলাকার অনেকেই জানান,চলতি বর্ষা মৌসুমেও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং বর্ডারের সার্বিক নিরাপত্তায় কঠোর ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন দিনরাত সমানভাবে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে সীমান্তের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন,তার ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা চলতি সময়ে শান্ত আছে মাঝে মধ্যে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির যে শব্দ গুলো আসে তা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হয়,তা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। উল্লেখ্য গত কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সরকার পরিচালিত বাহিনী এবং বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মির সঙ্গে তীব্র যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন সময়ে তাদের সংঘর্ষে ব্যবহারিত গুলি রকেট লাঞ্চার নাইক্ষ্যংছড়ির ভিতরে এসে আহত নিহতের মত ঘটনা ঘটিয়েছে, এবং মিয়ানমারের ভিতরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বেশ কয়েক দফায় সরকারি বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় নিয়েছিল বিজিবির কাছে। তাদেরকে কয়েক দফায় রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী মিয়ানমার জান্তা সরকারের কাছে ফেরত পাঠানো হয় অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে।