আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাইশফাঁড়ি দিয়ে বিশাল-আকার গোলার আওয়াজ

নাইক্ষ‍্যংছড়ির সীমান্ত দিয়ে জামছড়ি গ্রামে লাশের গন্ধ

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংছড়ি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:১০:০০ পূর্বাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

সীমান্তের তমব্রু-বাইশফাড়ি সীমান্ত এলাকার বিপরীতে ওপারে নারায়ন সং সেনা ক্যাম্পটি দখলে নিতে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত সড়কের আশপাশ এলাকা। এ ঘটনা মিয়ানমারের  সাহেব বাজার ও ফকিরা বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

এসব গোলার আওয়াজে সোমবার ১৮ মার্চ বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত সীমান্ত সড়কের আশপাশের লেকজনের মাঝে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করে।

এদিকে লাশের পচা গন্ধ পাচ্ছে জামছড়ি গ্রামের অধিবাসীরা।

তারা শুক্রবার থেকে এ গন্ধ পাচ্ছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। এ নিয়ে অস্বস্তিতে সীমান্তের এ এলাকার কিছু মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে ১১ মার্চ জান্তা বাহিনীর ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয়ে ঢোকার আগে গুলিতে মারা যাওয়া লাশ থেকে এ গন্ধ বের হচ্ছে। জান্তা বাহিনীর এ টহল দলে ছিলো ২ শতাধিক সদস্য। 

এদিকে রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরকান আর্মির মূখপাত্র খিন থু খা এর 

ঘনিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানান,রাখাইনের  বুথিদং শহরের  জান্তা বাহিনীর খেমার (552) ব্যাটালিয়ন দখলে নিতে বিদ্রোহী আরকান আর্মি এএ  গত ৩ দিন ধরে চতুর্মূখী হামলা চালাচ্ছে। এর আগে তারা (আরকান আর্মি)  জান্তা সরকারের আরো ৩ টি ব্যাটালিয়ন দখলে  নিয়েছে তারা। 

সূত্র আরো জানান,বর্তমানে বলি বাজার, রাশিদং,বুচিদং,মন্ডু শহরের চতুর্পাশে জান্তার সাথে তাদের ( এএ) প্রচন্ড যুদ্ধ চলছে। এখন স্থল অংশ তাদের আর  জান্তা সরকার আকাশ এবং নৌ পথ দখলে রেখেছে। 

এদিকে সীমান্তের জামছড়ি ও সাপমারাঝিরি ওপারে লাশের গন্ধ ভেসে আসছে সীমান্ত সড়কে। মাঝে মধ্যে গ্রামের ভেতরেও এ গন্ধ ভেসে আসে বাতাসে। জামছড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান,মো: জহির ও ছৈয়দ হোসেন সহ অনেকে নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এ বিষয়ে বলেন,সীমান্তের যে সমস্যা তা নিয়ে সকলে তটস্থ। বিজিবি সীমান্তে থাকলেও লোকালয়ের পরিষদের অধিনস্থ মেম্বার, চৌকিদার ও দফাদারদের তিনি সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো: মুজাহিদ উদ্দিন পালিয়ে আসা ১৭৭ জান্তা বাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে বলেন,তাদের বায়োডাটার কাজ রিভিউ সহ সব কিছু যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে।  সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে অল্প দিনের মধ্যে হয়তো 

তাদের বিষয়ে নির্দেশনা আসবে, তখন তাদের ফেরৎ দেয়ার কাজ শুরু হরু হবে।

সীমান্ত বিষয়ে তিনি বলেন,গন্ধ আসুক বা আওয়াজ আসুক তাতে বাধা দেয়ার সুযোগ নেই। 

তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে। অপর দিকে জেলা প্রশাসন সীমান্ত পরিস্থিতি পর্ডবেক্ষণ করছেন গভীরভাবে। যে কোন ধরণের পরিস্থিতি সরকার মোকাবেলা করবে। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।