বান্দরবানের থানচিতে তিন্দু ইউনিয়নের পদ্ম খাল সংলগ্ন চিংড়ি ঝিরি এলাকায় নৌকা ডুবে দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
সোমবার (০৮ জুলাই) দুপুরে থানচি বলিপাড়া ইউনিয়নের ক্রংক্ষ্যং পাড়া নিচে সাঙ্গু নদীর সংলগ্ন শিলাঝিড়ি মুখ এলাকায় পাড়ার মেয়েরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ পরে থাকতে দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক লোকজনের কাছে খবর দিলে পাড়াবাসীরা প্রথমে পুলিশের কাছে বিষয়টি অবগত করানো হয়। পরে নিখোঁজ দুই স্কুল শিক্ষার্থী অভিভাবকদেরও খবর দেয়া হয়।
এই নিয়ে টিমং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আগষ্টিন ত্রিপুরা বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ সন্ধানে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশটি গত ১ তারিখে নৌকা ডুবে সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ হওয়ার দুই স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তিরানী ত্রিপুরা (১১) লাশ। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি লাশটি শান্তিরানী ত্রিপুরা।
থানচি থানা, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ সন্ধানে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। তবে সাঙ্গু নদীতে নৌকা ডুবি নিখোঁজ দুই স্কুল শিক্ষার্থীদের একজনের লাশ বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, গত ০১ জুলাই পদ্ম খাল সংলগ্ন চিংড়ি ঝিড়ি এলাকায় নৌকা ডুবে দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছিল। তাঁরা হলেন, ফুলবানী ত্রিপুরা (১০) তিন্দু ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশচন্দ্র পাড়া নিলাপ্রু ত্রিপুরা'র মেয়ে। অপর জন মুতিজন ত্রিপুরার মেয়ে শান্ত্রিরানী ত্রিপুরা (১১) তাঁরা একই পাড়ার বাসিন্দা। ফুলবানী ত্রিপুরা টিমং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী। অপরজন শান্তিরানী ত্রিপুরা হানারাং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।
নৌকা ডুবে দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় ৭দিন পর আজ দুপুরে শান্তরানী ত্রিপুরা লাশ উদ্ধার করা হলো। এখনো সন্ধান মেলেনি ফুলবানী ত্রিপুরা লাশ। নিখোঁজ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মেয়ে মরদেহ সন্ধান পাওয়া মাত্রই (আগষ্টিন ত্রিপুরা, প্রধান শিক্ষক, টিমং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- 01881-767067) নম্বরে কোন হৃদয়বান মানুষের কাছে আকুল কাকুতি জানাচ্ছেন।