আজ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হাঁটু পানি পেরিয়ে যেতে হয় বাড়ি , জনদুর্ভোগ চরমে

ইলিয়াছ সুমন সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ জুন ২০২২ ১১:৩৮:০০ পূর্বাহ্ন | দেশ প্রান্তর

সন্দ্বীপ  উপজেলার মুছাপুর ৩ নং ওয়ার্ডের তিতালী পাড়া সড়ক ও ফকির তাজউদ্দীন শাহ সড়ক প্রায় ১  কিলোমিটার সড়ক বর্ষা মৌসুম   হলেই ডুবে যায়। 

 

এছাড়া সড়কের এই অংশের পুরোটাই খানাখন্দক। স্থানীয় লোকজন ইট ও পাথর ফেলে কোনো রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও সরকারীভাবে গ্রহণ করা হয়নি কোনো পদক্ষেপ। স্হানীয় দের অভিযোগ স্বাধীনতার ৫০  বছর পাড় হলে ও কেউ কথা রাখেন নি। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। সন্দ্বীপের বৃহত্তম দেলোয়ার খাঁ সড়কের উপর শান্তির হাট থেকে পশ্চিম দিকে নামতে যে সড়ক ঠিক ঐ সড়কের সোজা ফকির তাজউদ্দীন শাহ সড়ক, ও উত্তরের তিতালী পাড়া সড়ক। 

 

 

 

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটে ছোটবড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। বিশেষ করে এখানে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিনিউটি ক্লিনিক রয়েছে, রোগীরা ক্লিনিকে আসতে এখন চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এবং মসজিদে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হ'য়ে পড়ছে। 

 

 

 

রোববার  সকালে সরেজমিনে  এলাকায় গিয়ে দেখা যায়  সড়কের ওপর হাঁটু সমান পানি জমে যায়। এছাড়া এ দুসড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশে চলাচলের উপায় নেই বললেই চলে। পুরোটাই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা।

 

 

 এ দুসড়কের পাশে রয়েছে ওবায়দীয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, সিরাজুল মাওলানা কমিনিউটি ক্লিনিক, মুছাপুর বদিউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়, আবদুল্লাহ খুরশিদ প্রথমিক বিদ্যালয়, বাগাইর গৌ তেমাথা, শান্তির হাট, ধোপার হাট, প্রতিদিন চলাচলে এলাকাবাসী শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী সহ বিভিন্ন লোকজনের দুর্ভোগ চরমে। 

এ এলাকার বাসিন্দা মোঃ এছহাক( ৭০) বলেন ভোট আসলে বিভিন্ন প্রার্থীরা রাস্তা টি করে দিবে বললো ও ভোটের পর আর কোন খবর থাকেনা,  কৃষক  মোঃ মহসিন (৬৫) বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলে ও সব এলাকার উন্নয়নের হলে ও এ রাস্তাটির দিকে কারো নজর নেই।  প্রবাসী আশ্রাফ  উদ্দিন রাজু (২৬) রাস্তা দুটি পাকা করনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন,  ব্যবসায়ী নুরুল আবছার খোকন (৪০) বলেন তিতাপাড়ায় একটি ছোট দোকান করে আমি সংসার চালায় কিন্তু বর্ষা আসলো রাস্তার দুরবস্থার জন্য কোন কাস্টমার আসতে পারে না।  মাদ্রাসা ছাত্র আসিফ বলেন রাস্তার দুরবস্থার কারনে বর্ষা আসলে আর মাদ্রাসায় যেতে পারি না । 

প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন বলেন আজ পনের বছর আ.লীগ ক্ষমতায় মুছাপুরের অনন্য স্হানে অনেক উন্নয়ন হলে ও তিতাপাড়ার রাস্তাটি সেই আগের অবস্থায় পড়ে আছে কারো কোন নজর নেই। 

 

ওবায়দীয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল হোসাইন বলেন  রাস্তা দুটি পাকা করন করলে এ এলাকার ছাত্র ছাত্রী দের লেখা পড়ার আরো উন্নত হত, কিন্তু দুর্ভাগ্য দীর্ঘদিন পর্যন্ত রাস্তা গুলির সংস্কারের অভাবে আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের বর্ষা মৌসুম আসলে অভিভাবকরা আর মাদ্রাসায় পাঠাতে চাই না, চাইবে বা কি করে যদি কোমলমতি বাচ্চারা পানিতে ভেসে যাই। 

স্হানাীয় স্বাস্থ্য কর্মী মাসুদুর রহমান বলেন রাস্তার যে দুরবস্থা অনেক সময় অফিসে আসতে পারি না ঠিক মতে, কোমর সমান পানি থাকে। রোগীরা আসতে অনেক কষ্ট হয়। 

 

 

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম দৈনিক সাঙ্গু কে বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার অবহিত করছি, কাগজ পত্র ও জবা দিয়েছি, আশা করি খুব দ্রুত টেন্ডার হবে ।