দেশের আইনজীবীদের সনদ প্রদান ও সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন গতকাল ২৫ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে । সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে ও সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভোট কেন্দ্র জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে ১৪ টি বুথে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনের একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।বার কাউন্সিলের মোট ১৪ পদে চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে ৯৩ টি কেন্দ্র ১৬৪ টি বুথে ৫০৮০৩ জন ভোটার দের মধ্যে থেকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন । উক্ত নির্বাচনে সি' অঞ্চল (বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি) তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম জেলা আইন সমিতির দুই জনপ্রিয় আইনজীবী তারা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিও ছিলেন ।একজন হলেন আওয়ামী সমর্থিত প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী এডভোকেট মুজিবুল হক।অন্য জন বিএনপির-জামাত সমর্থিত প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এড. বদরুল আনোয়ার। তারা উভয়ই জয়লাভ করার ব্যাপারে আশাবাদী। চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় এই বারের বার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচনে সি' অঞ্চলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী প্রার্থী মুজিবুল হক ও বদরুল আনোয়ারের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি কারণ তারা উভয়ই আদালত পাড়ায় বেশ জনপ্রিয়। তবে এই অঞ্চলে আরেক প্রার্থী এএইচ এম জাহিদ হোসেন ও ছাড় দিতে নারাজ, তিনি ও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন বলে জানাযায়।
তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবারের মতো এবারও দেশব্যাপী ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বার কাউন্সিলের সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের মধ্য থেকে সাধারণ আসনে সাতজন এবং অঞ্চল আসনে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হবেন। অঞ্চল আসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনজীবী সমিতির আইনজীবীদের মধ্য থেকে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের সব দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণসহ বাজিতপুর, ইশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাংগা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানি আদালতসমূহে একটি করে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
এর মধ্যে ‘এ’ অঞ্চলে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) ঢাকা জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘বি’ অঞ্চলে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘সি’ অঞ্চলে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘ডি’ অঞ্চলে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) কুমিল্লা ও সিলেট জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘ই’ অঞ্চলে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘এফ’ অঞ্চলে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি এবং ‘জি’ অঞ্চলে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে।
তথ্য মতে, কোনো প্রার্থী নির্বাচনের বিরুদ্ধে আপত্তি করতে চাইলে ফলাফল সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের দিন থেকে এক মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এজন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন সংক্রান্ত আপত্তি দরখাস্ত শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সবুর। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ১৪ জুলাই আপত্তিপত্র গ্রহণ করবে।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর আগস্টে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনায় ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
গঠিত কমিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। চলতি বছরের ৩১ মে বা তার আগে বার কাউন্সিলের নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচিত কমিটি আগামী ১ জুলাই দায়িত্বগ্রহণ করবে