আজ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

সন্তু লারমা ও প্রসিত খীসা মিথ্যা বুলি শুনিয়ে সহজ সরল জুম্ম জাতির সাথে প্রতারনা করছে: ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরীহ জুম্মদের নিয়ে বিভেদ পহ্নীদের নব্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে পার্বত্য চুক্তি  বাস্তবায়নের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধের ডাক দিয়ে বান্দরবানে ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট( ইউপিডিএফ গনতান্ত্রিকের)এর ৪র্থ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ সোমবার সকাল ১০টায় হিলভিউ কনভেন্সন হলে ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিকের) বান্দরবান জেলা সভাপতি মংপ্রু মারমা হেডম্যানের সভাপতিত্বে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিকের) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী অমর চাকমা।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিকের) কেন্দ্রীয় সদস্য  আপ্রুমং মারমা,ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিকের) বান্দরবান জেলা শাখার সাধারন সস্পাদক উবামং মারমা,পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী রয়েল চাকমা সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগনের অধিকার ও ভাগ্য উন্নয়নে এবং পুর্নাঙ্গ  স্বায়িত্ব শাসন আদায়ে ১৯৭৩ সালে প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) নামে আঞ্চলিক রাজনৌতিক দল প্রতিষ্টা লাভ করে। সংগঠনের প্রতিষ্টাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা ১৯৮৩ মারা যাওয়ার পর তার ছোট ভাই সন্তু লারমা দলের দায়িত্ব নেন।

দীর্ঘ দুই যুগের রক্ত ক্ষয়ি সংর্ঘষ বন্ধে ১৯৯৭ সালে ২রা  ডিসেম্বর অস্ত্র ও আত্নসর্মপনের মধ্যদিয়ে  সরকারের সাথে সন্তু লারমার শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী সন্তু লারমাকে (প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদার)আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারমান নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। পাহাড়ের মানুষ আশা করেছিল চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই যুগের রক্তের হুলিখেলা বন্ধ হয়ে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ফিরে আসবে।

আমরা দেখতে পেলাম আরেক ষড়যন্ত্রকারী প্রসিত খীষা ইউপিডিএফ নামে আরেকটি শসস্ত্র সংগঠন গঠনের মাধ্যমে ভাতৃঘাতি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। জুম্ম জাতির অধিকারের কথা বলে সন্তু লারমা ও প্রসিত খীষার নেতৃত্বে ও নির্দেশে নিরহ জুম্ম ভাই বোনদের বুকে গুলি চালানো হচ্ছে। পক্ষান্তরে জুম্ম জনগনের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের ডাক দিয়ে সন্তু লারমা এসি গাড়ি ও বাড়িতে অবস্থান করে সরকারী সুযোগ সুবিধা এবং চাঁদা বাজির টাকার ভাগ নিচ্ছে। অপর দিকে প্রসিত খীষা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে হাজার হাজার একর রাবার ও সেগুন গাছ বনায়ন করে এবং চাঁদাবাজির টাকা নিয়ে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছে।

এই দুই কথিত নেতা জুম্ম জনগনের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। তাই তাদের নেতৃত্বে গড়া জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর দ্বারা কখনো জুম্ম জাতির অধিকার ও ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব নয়। বক্তারা আরো বলেন, সন্তু লারমা ও প্রসিত খীষা আন্দোলনের কথা বলে শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি,নিরীহ উপজাতি বাঙ্গালীকে হত্যার পাশা পাশি দেশ প্রেমিক সেনা বাহিনী ও পুলিশকে হত্যা করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্তিতিশীল করে তুলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ১২টি জাতি গুষ্টি বসবাস করে আসছে।

সন্তু লারমা ও প্রসিত খীসা কখনো খোঁজ নিয়ে জানতে চায়নি পাহাড়ের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া বম,খুমি,মুরং,লুসাই,খেয়াং জনগোষ্টির মানুষ গুলো কেমন আছে,তারা খাচ্ছে না কি খাচ্ছেনা। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগনের অধিকার আদায় ও স্বার্থ রক্ষায় এবং সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি বজায় রাখার দুঢ অঙ্গীকার নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট( ইউপিডিএফ গনতান্ত্রিকের) নামে আঞ্চলিক একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে।

হাটি হাটি পা পা করে এই সংগঠনটি আজ চতুর্থ বছরে পদার্পন করেছে। জুম্ম জাতির অধিকার আদায় ও স্বার্থ সুনিশ্চিত করতে দল মত নির্বিশেষে সবাই ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট( ইউপিডিএফ গনতান্ত্রিকের) পতাকা তলে এসে সংগঠনের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে পাহাড়ি জনগনের প্রতি আহবান জানান।