মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন জুড়ে গোলাগুলি চলছে আরকান আর্মি এবং মিয়ানমার বাহিনীর মধ্যে।এই সংঘর্ষ চলছে গত ৪ মাস ধরে। তবে গত ১ সপ্তাহ ধরে এ গোলাগুলিতে পেরে না ওঠায় আরো শতাধিক জান্তা সদস্য আশ্রয নিতে সীমান্ত দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির অভ্যন্তরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে। খবর শুনে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ,বিজিবি তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এর আগে গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ জন জান্তার সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ৭ দিন ধরে তারা এখানে রয়েছে।
সূত্র মতে, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি,চাকঢালা,আশারতলি, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানে টহল বৃদ্ধি করেছে বিজিবি। রোববার বিকেল নাগাদ এ দৃশ্য
দেখেছেন সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা।
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর সাথে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
অপর দিকে চলমান সংঘর্ষে সেক্টর-২ এর আরও শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে,জামছড়ি জারুলিয়াছড়ি নুরুল আলম কোম্পানীর লেবু বাগানের পাশের এলাকার মিয়ানমারের কিছুটা ভিতরে জড়ো হয়েছে শতাধিক জান্তা সদস্য।যে খোন মুহূর্তে সীমান্তের জিরো লাইন দিয়ে তারা আশ্রয় নিতে পারে বলে জানিয়েছেন সীমান্তের লোকজন।এ বিষয়ে
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান,সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।