বান্দরবানের লামার নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে ডুবে গেছে বাজার,বাড়ি-ঘর ও আবাদকৃত কৃষি জমি ও বীজতলা। বেশ কিছু জায়গায় ছোটখাট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনের ঘরবাড়ি আংশিক চাপা পড়লেও প্রাণ হানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে লামা-আলীকদম সড়কের বিভিন্নস্থান পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান, দুর্যোগে সহযোগিতার জন্য উপজেলার বিভিন্নস্থানে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে লামা হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও লামা থানা প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে মাইকিং করা হয়েছে।লামার মিরিন্জায় পাহাড় ধসে দুঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম জানান,লামা পৌরসভা ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫৫টি প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। ছোটখাট দুই একটি পাহাড়ধসের ঘটনার খবর পাওয়া গেলেও কোনো প্রাণ হানির খবর পাওয়া যায়নি।
খবর নিয়ে জানা যায়, লামা পৌর শহরের নয়াপাড়া, টিএন্ডটি পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া, পাহাড় পাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকা, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরি, ছাগলখাইয়া, শিলেরতুয়া, কেরারঝিরি, দরদরাঝিরি এলাকায় রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে মাতামুহুরী নদী সহ লামার সবকয়টি খালে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
লামা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ জানান, বাজারের নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে রবিবার সকাল থেকে কখনো হালকা কখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছেনা। লামা বাজারের বড় আড়ত ও মুদি ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে।