আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রোয়াংছড়িতে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করলেন জেলা প্রশাসক

অসীম রায় বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৪১:০০ পূর্বাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

 

 

 

প্রধানমন্ত্রীর এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত  না থাকে - এ নির্দেশনা ও তামাকজাত পণ্য চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে আখ, সবজি এবং সাথি ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক  ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের সাথে  মাঠে মাঠে গিয়ে মত বিনিময় করেন। ৭ই ডিসেম্বর বিকেলে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরে কৃষকের মাঝে নিজেই একজন শ্রমিক মানুষ হিসেবে দেখে দিচ্ছেন সকলের প্রিয় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। 

 

  জেলাপ্রশাসকের সাথে উপস্হিত ছিলেন ডিডি,কৃষি সম্প্রসারণ; ডিডি, হর্টিকালচার; ইউএনও, রোয়াংছড়ি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সদর- রোয়াংছড়ি,   চেয়ারম্যান,  জামছড়ি ও নোয়াপতং এবং স্হানীয় ব্যক্তিবর্গ। জেলা প্রশাসক  তামাকজাত পণ্যের স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ তামাক চাষের নানা ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং  ভুট্টা, আখ, টমেটো, সরিষা,আলু, শিম চাষসহ বসত বাড়ির সাথে পতিত জমিতে  শাক সবজি চাষে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করেন।  

 

বান্দরবান জেলায় প্রতিটি উপজেলাতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বিভিন্ন কৃষিবান্ধব কর্মপ্রচেষ্টায় তামাক উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে এবং আখ ও সাথি ফসলের চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।ইতোমধ্যে জেলাপ্রশাসক এ জেলার  বিভিন্ন উপজেলায় কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস করেছেন। 

 

উল্লেখ্য যে, জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায়  বান্দরবান  সদর উপজেলার  তামাক চাষের ১৩ হেক্টর  জমি হতে  ৬ হেক্টর  জমি তামাকমুক্ত করে আখ ও অন্যান্য সাথি ফসলের  আবাদ করা হয়েছে।  একইভাবে ,  রোয়াংছড়ি  উপজেলার  ১৫ হেক্টর  তামাক চাষভুক্ত জমি হতে ১০ হেক্টর জমি অবমুক্ত  করে সবজি, কলা, আখ ও  সাথি ফসল চাষ করা হয়েছে ( তথ্যসূত্র- কৃষি  বিভাগ)। 

 

এছাড়াও,  সদর ও রোয়াংছড়ি  উপজেলার পতিত যথাক্রমে  ৪১৯৮ হেক্টর  ও ৪৮৭৫ হেক্টর  জমির মধ্যে  যথাক্রমে  ৭০০ ও ৭৫০ হেক্টর  জমি ফল ও সবজি চাষের  আওতায় আনার কার্যক্রম  চলমান রয়েছে। জেলা প্রশাসক   উপরোক্ত  কার্যক্রমগুলো সরেজমিনে  পরিদর্শন  করতে  আজ বিকেলে রোয়াংছড়ি  ও সদরের  বিভিন্ন  আবাদি  ও আবাদযোগ্য মাঠ পরিদর্শন  করেন।

 

তাছাড়া, কৃষিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করার লক্ষ্যে তিনি ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করার খামার পরিদর্শন করেন ও উদ্যোক্তাদেরকে জৈব সার উৎপাদনে উৎসাহিত করেন।  তিনি প্রতিটি  উপজেলায়  তিনটি করে নতুন  ভার্মি কম্পোস্ট  সার তৈরির  কার্যক্রম  শুরু  করার প্রয়োজনীয়  সহযোগিতা  দানের অংগীকার করেন।