উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) তাকে রাশিয়াগামী নিজস্ব বিশেষ ট্রেনে দেখা গেছে। মস্কোতে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। খবর সিএনএন।
কিম জং উনের পূর্বপরিকল্পিত রুশ সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ওয়াশিংটনের শঙ্কা, কিম জং উন ও পুতিনের বৈঠকে অস্ত্র কেনা-বেচার বিষয়টি উঠে আসতে পারে। এর এতে ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সহযোগিতার জন্য অস্ত্র সরবারাহের জন্য রাজি হতে পারে পিয়ংইয়ং। শুধু মার্কিন শিবিরকে বিপাকে ফেলতেই নয়, তাদের এই সফরের ফলে গোটা ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা ফের আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিম জং উন পিয়ংইয়ং থেকে ট্রেনে চড়ে ভ্লাদিভস্তোকে যাবেন। রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এই এলাকার অবস্থান। ভ্লাদিভস্তোক রাশিয়ার বন্দরনগরী। মস্কোর অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিনের বদলে কিম রাশিয়ায় কামান, গোলা ও ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবেন।
মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক সম্পর্ক নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু বলেন, ‘কেন নয় তারা আমাদের প্রতিবেশী। রুশ প্রবাদ হলো, প্রতিবেশী আপনি নির্বাচন করবেন না। তাই ভালো উপায় হলো, প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক ও আতিথেয়তা বজায় রেখে সহাবস্থান নিশ্চিত করা।’