রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার এই ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে বেশিরভাগ সড়কের অংশ চলতি বর্ষার পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গিয়ে বড় ছোট শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন প্রায় ৩০ কিলোমিটার পযর্ন্ত সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকা বিজিবি সদস্য সহ তাদের বড় অফিসাররা। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের রামু চাবাগান দিয়ে রাবার বাগান হয়ে আসার সময় হ্যালিপ্যাড এলাকার সড়কের উপর পাহাড় থেকে চুপসে আসা পানি প্রবাহিত হয় সব সময়,ফলে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত এ কারণে মালবাহী গাড়ি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে বান্দরবানে যাতায়াতকারী বড় বডির পূরবী গাড়ি চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। মাঝেমধ্যে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি এসে নামে মাত্র জোড়া তালী দিয়ে ফিরে যান,কখনো সড়কের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়া পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা করেন না। ফরেস্ট অফিস এলাকায় বছরের পর বছর সড়কের উপর পুকুর আকৃতির মত জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে, মাঝেমধ্যে কংক্রিট এবং বালি দিয়ে ভরিয়ে দেন সড়ক সংশ্লিষ্টরা,কয়েক ঘণ্টার মতো মোটামুটি গাড়ি চলাচলের উপযোগী হয়ে আবারও আগেকার মত অবস্থায় ফিরে আসে। কাওয়ারখোব এলাকার শিক্ষক মোঃ তাজউদ্দীন বলেন, প্রথমত সংকীর্ণ সড়ক, দ্বিতীয়ত সড়কের অবস্থা খুবই বাজে এই অবস্থাতে আমরা খুব কষ্টে আছি। এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী গর্জনিয়া হাই স্কুলের শিক্ষক অসিত বলেন, এখন থেকে গত ১০ বছর আগে সড়কটি আরো ভাল ছিল,বর্তমানে সঠিক তদারকির অভাবে ভেঙ্গে চূড়ে মানুষের দুঃখ দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। উল্লেখ্য গত তিন বছর ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মানুষেরা বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্যে শুনে আসছিল সড়কে প্রশস্ত হবে, এই কথা শুনে মানুষের মনে প্রশান্তি আসলেও কাজের বেলায় এখনো কিছু দৃশ্যমান নয় কথার মাঝেই সীমাবদ্ধ সব কিছু।