১৯৮৬ সালের ১৩ জুলাই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়ে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল জেএসএস এর সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শান্তিবাহিনী ৭ নিরীহ বাঙালিকে গুলি, অগ্নিসংযোগ ও জবাই করে হত্যা করে।
শনিবার সকালে গণহত্যার শিকার পাতাছড়ার ডাকবাংলা এলাকার নিরীহ ৭ বাঙ্গালীর গণকবরের সামনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করে নিহতদের স্বজনসহ এলাকাবাসী।
পাতাছড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ আবু হানিফের নেতৃত্বে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন গণহত্যায় নিহত আদম ছফি উল্লাহ'র ছেলে মোঃ ইয়াছিন ও আবু ইউসুফ, ছবুরী খাতুনের ছেলে নজরুল ইসলাম, হালিমা বেগমের ছেলে মোঃ নাছির সহ সমাজ কমিটির সভাপতি মোঃ মন্তাজ মিয়া, মোঃ ইব্রাহিম খলির, মোঃ সেলিম মিয়া, আল-আমিন, শিমুল, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে।
এসময় তারা সরকারের কাছে গণহত্যায় নিহতদের গণকবর সংরক্ষণের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ববর্তী সময়ে তিন পার্বত্য জেলায় সংগঠিত বিভিন্ন গণহত্যার নথিপত্রে রামগড়ের পাতাছড়া গণহত্যার ঘটনা প্রকাশ করার পাশাপাশি বাস্তুহারা পরিবারগুলোকে নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানো ও প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের আজকের এইদিনে শান্তিবাহিনীর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর এলোপাতাড়ি গুলি ও অগ্নিসংযোগে সেদিন নিহত হয়েছিল ৫ শিশুসহ ৭ জন বাঙালি। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল বাড়ীঘর। সেদিনের বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেনি ডাকবাংলা পাড়ার বাসিন্দারা।