আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে ৪৬ মিয়ানমার গরু আটক

মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৪৪:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

 

সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। *সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে ঘনকুয়াশার মধ্যে শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে দেশ মাতৃকার সেবায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর সদস্যগণ সারাক্ষণ নিয়োজিত থেকে বিভিন্ন প্রকার অভিযান পরিচলনা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিতকতায় ২২ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তীরেরডিবা বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল অবৈধভাবে সীমান্ত পথে আসা ৩১টি এবং অন্যান্য বিওপি কর্তৃক আরো ১৫টিসহ সর্বমোট ৪৬টি বার্মিজ গরু আটক করতে সক্ষম হয় । উল্লেখ্য মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন, সেক্টর কমান্ডার, রামু এবং অধিনায়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি )এর বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা হতে বিভিন্ন বিওপি/ক্যাম্প কর্তৃক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সীমান্ত পথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশকালে গত ০৩ মাসে বিপুল পরিমাণ বার্মিজ গবাদি পশু মালিকসহ/মালিকবিহীন অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত গবাদি পশুর সর্বমোট আনুমানিক সিজার মূল্য- ১,৫৮,৩৭,০০০/- (এক কোটি আটান্ন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার)। সীমান্ত পথে গরু চোরাচালান রোধকল্পে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোন মূল্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) চোরাচালান প্রতিরোধে বদ্ধ পরিকর এবং ভবিষ্যতে মাদক ও চোরাচালান দমনে নিয়োজিত থেকে যেকোন আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানান ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে সকল ব্যক্তিবর্গ এধরণের চোরাচালানী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সে যেই হোক চিহ্নিত করতঃ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ বার্মিজ গরু, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার/পরিবহন, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং অত্র এলাকায় যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।