বান্দরবানের টংকাবতী ইউনিয়নের চিনি পাড়া ঝিরি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় অবৈধ ভাবে পাথর বিস্ফোরন ঘটনাতে গিয়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের চকরিয়ার ১নং ব্লকের ১নং ওয়ার্ডের মাঝের পাড়ার মোঃ কালু মিয়ার ছেলে মোঃ কামাল উদ্দিন (৬০) ও বান্দরবান লামা থানার ৫নং ওয়ার্ডের ছাইতুন পাড়ার মৃত মোজাহার আলীর ছেলে মোঃ আলী আহমেদ (৫০)।
গত সোমবার (১৪মার্চ) বিকালে টংকাবতীর চিনি পাড়া এলাকায় এ ঘটনাঘটে। তড়িঘড়ি করে রাতেই দুই শ্রমিকের লাশ এম্বুলেন্সে যোগে স্বজনদের কাছে গ্রামের বাড়ি পৌছানো হয়েছে। পরের দিন মঙ্গলবার (১৫মার্চ) সকালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় নিহতের দুই পরিবারকে মাত্র ৩০হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়।
পাথর খেকো মোঃ নাছির উদ্দীন
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং মৃত্যুর দ্বায় এড়াতে বান্দরবান পুলিশের চোখ ফাঁকি ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, বান্দরবানের টংকাবতীতে পাথর উত্তোলন করার সময় নিষিদ্ধ বিস্ফোরক দিয়ে অবৈধভাবে পাথর বিস্ফোরন ঘটাতে গিয়ে বিস্ফোরিত পাথরের আঘাতে ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিক নিহত হয়। ঘটনার পর সহযোগী অন্যান্য লেবাররা তাদের উদ্ধার করে কেরানীহাট মা ও শিশু হসপিটালি নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করে।এসময় ঘটনা ধামাচাপা দিতে পাথর উত্তোলনকারী মোঃ নাছির উদ্দীন তড়িঘড়ি করে এম্বুলেন্সে যোগে লাশ দুটি তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আত্নীয় স্বজনদের হাতে মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে নিয়ে কোন ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করে।
পাথর বিস্ফোরনে দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাথর উত্তোলনকারী মোঃ নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, পাথর বিস্ফোরিত হয়ে দুই শ্রমিক মারা যায়নি তারা পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন করার সময় পাহাড় ভেঙ্গে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে তড়িঘড়ি করে তাদের পরিবারের সাথে টাকার বিনীময়ে আপোষ মিমাংসা করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বলেন, পাথর বিস্ফোরনে দুই পাথর শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনা আমার জানানাই। আমি এখনই খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা উচিত হয়নি বলেও জানান তিনি।