আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১
সেনাবাহিনীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায়

বান্দরবানের রুমা-থানছির বিধ্বস্ত সড়ক পুনরুদ্ধার

এইচ এম সম্রাট, বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৯:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অক্লান্ত  প্রচেষ্টায় প্রবল বর্ষনের কারনে বান্দরবানের রুমা-থানছির বিধ্বস্ত সড়ক পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বিধ্বস্ত সড়ক সড়ক,ব্রীজ ও কালভাট মেরামতের মাধ্যমে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করা হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষনে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক,ব্রীজ,কালভাট ও ড্রেনের মেরামত এবং সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

জানা যায়,২০২৩ সালে আগষ্ট- সেপ্টম্বর মাসে টানা ভারী বর্ষনে বান্দরবানের রুমা-থানছির সড়কের চিম্বুক,নীলগিরি,ওয়াইজংশন ও রুমাসহ বি়ভিন্ন স্থানে রাস্তার বিশাল বিশাল অংশ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ব্যালীব্রীজ দেবে গিয়ে প্রায় ১৫ দিন জেলা সদরের সাথে রুমা ও থানছি উপজেলার  সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় মানুষের জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠে। 

 এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৬ ইসিবি'র অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক,ব্রীজ,কালভাট ও ড্রেনের মেরামত এবং সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে দ্রুত যানবাহনসহ সড়ক যোগাযোগ চালু করতে সক্ষম হয়।

সেনাবাহিনী সুত্র জানায়, ২০২৩ সালে বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষনের কারনে বান্দরবানের রুমা-থানছির সড়কের বি়ভিন্ন স্থানে রাস্তার বিশাল বিশাল অংশ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ব্যালীব্রীজ দেবে গিয়ে জেলা সদরের সাথে রুমা ও থানছি উপজেলার  সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় প্ররধান মন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সষ্ট্রাকশন ব্রিগেডের দিক নির্দেশনায় এডহক ২৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সষ্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ানের সদস্যবৃন্দ অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক,ব্রীজ,কালভাট ও ড্রেনের মেরামত এবং সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে বিধ্বস্ত সড়ক পুনরুদ্ধার করে দ্রুত যানবাহনসহ সড়ক যোগাযোগ  ব্যবস্থা চালু করতে সক্ষম হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষনে এসব সড়কে বিভিন্ন স্থানে পুনরায় ছোট বড় ভাঙ্গন দেখা দেয়।  ২৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সষ্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ানের সদস্যবৃন্দ অক্লান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে সেনাবাহিনী জানায়। নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা,ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক,ব্রিজ,ড্রেন ও কালবাট দ্রুত সংস্কার করন,প্রত্যন্ত অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পন্য শহরে দ্রুত পৌছাতে সহযোগীতা করন,পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশী বিদেশী পর্যটকদের সকল ধরনের সহযোগীতা প্রদান,দুর্গম অঞ্চলের অসুস্থ বাসিন্দাদের নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা সেবার গ্রহনের সুযোগ করে দেয়া এবং সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকা গুলোতে বিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা। এসমস্ত বিষয় গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোর পাহাড়ে কাজ করে যাচ্ছে।