বান্দরবানের তিন উপজেলায় চলাচল করা পরিবহণের মালিক সমিতিকে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে গাড়ি না পাঠানোর জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। আজ শুক্রবার ৯ ই ফেব্রুয়ারি সকালে তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজ থেকে এই সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করা হয়। জেলার রুমা বাজার, রোয়াংছড়ি বাজার এবং থানচি বাজারের গাড়ি সমিতি সভাপতিদের কেএনএফ এর সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এর কমান্ডার লে: লে পাবিক এর জারি করা নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং কেএনএফ এর চলমান বন্দুক যুদ্ধে সমিতির গাড়ি এবং সমিতির ড্রাইভার’দের না পাঠানোর জন্যে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। এই সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাধারণ জনগনকে ব্যবহার করার জন্য সাধারণ নিরীহ জনগনকে যুদ্ধে নিয়ে যাচ্ছে এবং সেনাবাহিনীর নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার না করে বাজারের সমিতি গাড়ি ও সাথে সমিতির ড্রাইভার ব্যবহার করছে। যার ফলস্বরূপ যুদ্ধের সময় সেই নিরীহ গাড়ি ড্রাইভার এর গায়ে গুলি লাগতে পারতো। নোটিশে আরো বলা হয়, কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি দক্ষতার সাথে অপারেশন পরিচালনা করার ফলে নিরীহ ড্রাইভারের কোন ক্ষতি হয়নি। তাই বাজারের গাড়ি সমিতির সভাপতিকে এই বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা পূর্বক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গাড়ি সমিতি ড্রাইভারদের জীবন রক্ষা করার জন্য কেএনএফ হেডকোয়ার্টার থেকে জরুরি নোটিশ প্রদান করা হলো। সামনে যে কোন জায়গায় বন্দুক যুদ্ধের সময় সমিতির ড্রাইভাররা সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে এতে ড্রাইভারের কোন ক্ষতি হলে এর দায়ভার কেএনএফ নিবে না বরং গাড়ি সমিতির সভাপতিকে নিতে হবে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সকল প্রকার গাড়ি সুবিধা মতো চলাচল করতে পারবে, আর তা কেএনএফ রেস্ট্রিকটেড এরিয়া ব্যতীত। জেলার রুমা উপজেলার জীপ মালিক সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারনে ড্রাইভারদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে, আমরা বৈঠকে বসে দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো, কি করলে ড্রাইভারদের ভালো হয়। এদিকে এই ঘটনার পর জেলার তিন উপজেলায় চলাচল করা যানবাহনের ড্রাইভারদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে, কারন বান্দরবানে বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের কার্যক্রম থাকলে এই প্রথম যানবাহনের ড্রাইভারদের উপর এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। জেলার থানচি উপজেলার জীপ-মাহেন্দ্র মালিক সমিতির লাইন ম্যান প্রেন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা কেএনএফ এর এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানিনা, বৃহস্পতিবারও থানচির পাহাড়ি এলাকায় গাড়ি চলাচল করেছে।