আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

বান্দরবানে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন

অসীম রায় বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০১:১৮:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

 

 

 

 যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বান্দরবানে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বান্দরবান জেলা পরিষদের স্মৃতিসৌধে ও বাসস্ট্যান্ডের মুক্তিযোদ্ধা শহিদ স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে আজ এই দিনে  ১৪ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবী ও মহান শহিদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।

 

 বান্দরবান জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,পৌরসভা,সদর উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত হয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান করেন।

 

বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।  জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

 

 পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.শেখ ছাদেক,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা,বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বান্দরবানের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 ১৪ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে নিহত শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা শহিদ পরিবারের এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ দেশবাসীর শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

১৯৭১ সালে এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় বান্দরবান। তখন সাবেক জেলা প্রশাসক কার্যালয় ( মহকুমা সদর ছিল) চত্বরে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে বিজয়য়োল্লাস করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তথ্যমতে, মুক্তিযোদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৩ ই ডিসেম্বর পাক আর্মি বাহিনীর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের  গোলাগুলি শুরু হয়। ঠিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন তারু মিয়া বলেন আমি একটি স্বাধীন দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম।

 

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতি ইসলামী দল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করছেন পাকিস্তানি আদর্শ লালনকারী বিএনপির কাউকে বান্দরবান স্মৃতিসৌধে  নজরে পরেনি, যা অতান্ত্য  বেদনার  -যারা স্বাধীনতার ফসল ভোগ করে হত্যা করেছে  বুদ্ধিজীবীদের আজকেই সম্মান জানায় নাই তার নামটা উল্লেখ করে বুদ্ধিজীবীদের করেছেন বেদনা যারা স্বাধীনতা ফসল ভোগ করে হত্যা করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম,এ, হাকিম চৌধুরী এস কথা বলেন। 

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান ১৪ই ডিসেম্বর বান্দরবান হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। তৎকালীন এমএনএ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ বান্দরবানে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা হাতে নিয়ে নিজে উত্তোলন করেন। 

 

এছাড়াও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিকে উদযাপন করছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো।