আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বান্দরবানে মাচাংঘর পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

অসীম রায়, বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১০:৫১:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণাধীন মাচাং ঘর পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিন। সোমবার ৩১ শে অক্টোবর বিকেলে বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়ন পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিন মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৪র্থ পর্যায়ে নির্মাণাধীন মাচাংঘর পরিদর্শন করেন। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণাধীন মাচাং ঘরগুলো পরিদর্শন করেন এবং কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে সাংবাদিকদের চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ইতিপূর্বে বান্দরবান জেলায় পাঁকা ঘর নির্মাণ হলে ও এবার জেলা প্রশাসকের আবেদনের প্রেক্ষিতে পার্বত্য এলাকার ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সাথে সঙ্গতি রেখে তৈরি হচ্ছে মাচাংঘর, প্রতিটি মাচাংঘর নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে ২লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৭০টাকা। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিন আরোও বলেন,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজ দেশের অসংখ্য ভূমিহীন ও গৃহহীন তাদের মাথা গোঁজার ঠাই পাচ্ছে আর এই নির্মাণাধীন মাচাংঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে অসংখ্য পরিবার তাদের ঠিকানা খুঁজে পাবে। জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,স্থানীয় জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে এসব মাচাংঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদল বান্দরবান পরিদর্শন শেষে মাচাংঘর নির্মাণের যৌক্তিকতা বিবেচনায় এনে বিষয়টি অনুমোদন করে। তিনি আরো বলেন,ক্ষুদ্র নৃগোষ্টিদের জন্য সেমিপাকা গৃহের পরিবর্তে মাচাংঘর নির্মাণের উদ্দ্যোগটি সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে, প্রত্যন্ত এলাকার জনগণ সেমিপাকা ঘরের চেয়ে মাচাং ঘরকে বেশি পছন্দ করছেন এতে মাচাং এর নীচে গৃহপালিত পশু পালনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়। দুর্যোগ সহনীয় ও পরিবেশবান্ধব এ মাচাং ঘরে আলো বাতাস চলাচলের অবারিত সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো: লুৎফুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাজিয়া আফরোজ,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস,সিভিল সার্জন ডা:নীহার রঞ্জন নন্দী,সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমর্কতা মো.জাহাঙ্গীর,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাসিং শৈ মারমা এবং সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বান্দরবান জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে বান্দরবানে সর্বমোট ২৩০টি মাচাং ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে যারমধ্যে বর্তমানে সদর উপজেলায় ৯টি,আলীকদম উপজেলায় ১টি,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১৫ টি, রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪৫টি,লামা উপজেলায় ১৫টি,রুমা উপজেলায় ১০০টি এবং থানচি উপজেলায় ৪৫টি মাচাংঘর নিমার্ণ এর কাজ চলমান রয়েছে। আর মাচাং ঘরগুলোর কাজ সমাপ্ত হলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই ঘরের চাবি এবং জমির দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ীর মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।