ঘটনার চার দিন পরেও বান্দরবান জেলার থানছি-লিক্রী সড়ক থেকে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট(কেএনএফ)কর্তৃক অপহৃত ঠিকাদারসহ ৫জনের এখনো কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এঘটনায় অপহৃতদের পরিবারের মাঝে বেড়েছে আতংক ও উৎকন্ঠা। এছাড়াও সেনা বাহিনীর অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে থানছি-লিক্রী সড়কে নতুন র্নিমিত একটি ব্রীজ ধ্বংস করে দিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়েছে কেএনএফ সদস্যরা। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে থানছি-লিক্রী সীমান্ত সড়ক নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সেনা বাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ। জানা যায়,গত শনিবার(১১ মার্চ) বিকাল তিনটার দিকে থানছি-লিক্রী সড়কে সীমান্ত সড়ক নির্মানের কাজ শেষে দুটি ট্রাক যোগে ঠিকাদার ও লেবার থানছি সদরে ফেরার পথে বিশ কিলোমিটার নামক স্থনে কেএনএফ সদস্যরা গাড়ি লক্ষ্য করে অর্তকিত গুলি ছুুড়ে। এঘটনায় গুলিবৃদ্ধ হয় দুই গাড়ি চালকসহ চার জন। এসময় কেএনএফ সদস্যরা ১৭জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে নিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন সকালে ১২জনকে ছেড়ে দিলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে ঠিকাদার জিয়াউল হক জিয়া,নুরুল ইসলাম,পাথর ব্যবসায়ী কাজী নুরুল আনোয়ারসহ ৫জন। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে কেএনএফ এর শতাধিক সশস্ত্র সদস্য থানছি-লিক্রী সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থায় নিয়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে কেএনএফ সদস্যরা থানছি-লিক্রী সড়কের দশ কিলোমিটার নামক এলাকায় একট ব্রীগের রেলিং ও পাটাতন ভেঙ্গ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়েছে। এব্যপারে থানছি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রো জানান,কেএনএফ সদস্যরা একটি ব্রীজে বিস্ফোরন ঘটিয়েছে মর্মে খাবর পেয়েছি। তবে এতে তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি না হলেও ব্রীজের রেলিং ও পাটাতন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এব্যপারে থানছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুল মনছুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,কেএনএফ সদস্যরা একটি ব্রিজে অবস্থান নিয়ে বিস্ফোরন ঘটায়। এতে ব্রীজের রেলিং ও পাটাতন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে থানছির সামগ্রীক ঘটনায় জনমনে কিছুটা আতংক কাজ করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে থানছির উদ্ধুদ্ধ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে অর্নিষ্টকালের জন্য থানছি-লিক্রী সীমান্ত সড়ক নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সেনা বাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ। নিখোঁজ ঠিকাদার জিয়াউল হক জিয়া চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া এলাকার বাসিন্দা হারুন সওদাগরের পুত্র এবং পাথর ব্যবসায়ী কাজী নুরুল আনোয়ার বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিয়াঁখালী এলাকার কাজী আব্দুল মোমিনের পুত্র। অন্য ৩জনের ঠিকানা জানা যায়নি।