প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে প্রথমে দুইটি কাজ করেন, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথমত, জিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বার উন্মোচন করেন এবং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন জেলা হতে বাঙ্গালিদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন করেন। পাহাড়ী জনগোষ্ঠী জেনারেল জিয়ার সেই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। ফলে পুনর্বাসিত বাঙ্গালিদের সাথে পাহাড়ীদের এক অবশ্যম্ভাবী বিরোধের সৃষ্টি হয়। এভাবেই কয়েক হাজার উপজাতি পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে উদ্বাস্তু হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় নেয়। সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরে একটি গুলিও ফোটানো হয়নি বা কাউকে জীবন বা প্রাণও দিতে হয়নি। খুনের বিনিময়ে খুন নয়, প্রতিশোধ নয়, একটা সুন্দর পরিবেশে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে মন দিয়ে অনুধাবন করেছিলেন, চিহ্নিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। একে তিনি রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে একটি শান্ত পরিবেশ গড়ে ওঠে ও সাধারণ মানুষের মনে ফিরে আসে স্বস্তি। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মাঝে মধ্যে যে সন্ত্রাস, চাদাবাজি ও সংঘাত হয় তা আমাদের সুখ দিবে না। তিনি সন্ত্রাস ও চাদাবাজ পরিহার করে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জীবন্ত কিংবদন্তীদের দুই জন। ২৪ বছর পর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রীর পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এম,পি ও সে সময়কার সবচেয়ে কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি। সূত্র - পার্বত্য মন্ত্রী এর একান্ত সচিব সাদেক হোসেন চৌধুরী।