পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বান্দরবানে ইট ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে অবাধে কৃষি জমির মাটি। যার ফলে খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে কৃষি জমির পরিমান।
সোমবার সরেজমিনে পরির্দশন কালে দেখা যায়,বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউপির ছাইংগ্যা দানেশ পাড়ায় স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী মোঃ ইব্রাহীম বিশাল স্কেবেটর দিয়ে কৃষি জমির উপরি ভাগের মাটি কেটে ১০/১২টি ড্রাম ট্রাক যোগে বহন করে মোঃ মনিরুজ্জামান মিলনের মালিকানাধীন ইট ভাটায় সরবরাহ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ইব্রাহিম সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী নীরিহ উপজাতী-বাঙ্গালীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে কৃষি জমির মাটি নামে মাত্র টাকা দিয়ে ক্রয় করে তারা বিভিন্ন ইট ভাটায় সরবরাহ করছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় কৃষি জমি গুলো বিশাল বিশাল জলাধারে পরিনত হয়েছে। তারা আরো জানান,এক সময় এই জমি গুলোতে ধানসহ তিন ফসলী নানান কৃষি পণ্য উৎপাদিত হতো। এসব জমি বর্তমানে কৃষি কাজে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন আর কোন কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়না। এব্যপারে মাটি ব্যবসায়ী মোঃ ইব্রাহিম কৃষি জমির মাটি কাটার কথা স্বীকার করে বলেন,তিনি স্থানীয় ক্যাচিং পাড়ার বাসিন্দা চিংশোয়ে মার্মার কাছ থেকে পঞ্চান্ন হাজার টাকায় এই মাটি ক্রয় করেছেন। বর্তমানে তিনি এসব মাটি মোঃ মনিরুজ্জামান মিলনের মালিকানাধীন এবিএম নামক ইট ভাটায় সরবরাহ করছেন।
জানা যায়, পরিবেশ দূষন হ্রাস ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার নিয়ন্ত্রনে গত ২০/১১/১৯ ইং তারিখে সরকার ইট ভাটা স্থাপন ও পরিচালনা সংক্রান এক গনবিজ্ঞপ্তি জারী করে। জারীকৃত এই গনবিজ্ঞপ্তিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দুই বছরের কারাদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং অর্থ দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিষ্ট আব্দুস ছালাম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে জানান,স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরিবেশে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।