চলতি এক সপ্তাহের আলোচিত নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমারের সীমান্ত জনপথ ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকায় শুক্রবার ২ জানুয়ারি ভোর থেকে রাত ৯টা পযর্ন্ত আতঙ্কের মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ভিতরে কোন প্রকার গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দ এসে সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক কারণ হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি সদস্যরা তাদের টহল জোরদার করার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে যাতে কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে নিষ্টার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,ভোর থেকে সন্ধ্য পযর্ন্ত মিয়ানমার থেকে তাদের সীমান্ত এলাকায় ভয়ংকর কোন ফোটাফুটির শব্দ এসে কাপন সৃষ্টি করেনি,তবে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন হয়তো সাময়িক বিরতি চলছে,আবারো শুরু হতে কতক্ষণ? তমব্রু এলাকার সীমান্ত লাগুয়া জমিতে কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকা মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন গত চারদিন ধরে ভয়ে তার কৃষ জমিতে দেখভাল করতে বা পরিচর্যা করতে একবারও যাননি, তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে তাই তিনি আগের মত তার কৃষি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন দু'একদিনের ভিতরে।তমব্রু এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার বলেন গত কয়েকদিন ধরে মানুষের অভাবে তার দোকানের ব্যবসা মন্দ গিয়েছে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে যাচ্ছে, হয়তো আগের মত অবস্থায় ফিরবে তার প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য নাইক্ষ্যংছড়ি -মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার যত গুলো জায়গা রয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরণের অংশবিশেষ ঘুমধুমের তমব্রু এলাকাতে এসে পড়ার নজির রয়েছে।