গত দুইদিন বন্ধ থেকে আবারো ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টা৪০ মিনিটের সময় কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি এর অধীনস্থ তুমব্রু বিওপি'র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত মেইন পিলার ৩৪ এর শূন্য লাইন থেকে কিছুটা দক্ষিন দিক মায়ানমারের অভ্যন্তরের ২ বিজিপি'র অধীনে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প হতে মিয়ানমার সেনা/বিজিপি কর্তৃক আরাকান আর্মি'র অবস্থান লক্ষ্য করে ৭/৮ টি মর্টার শেল এবং ৪০ থেকে ৪৫ রাউন্ড গুলির শব্দ এসে তমব্রুর উওর পাড়া কাপিয়ে তুলে। প্রতিউত্তরে সীমান্ত পিলার-৩৪-৩৫ এর মধ্যবর্তী শূণ্য লাইন হতে পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরকান আর্মি কর্তৃক দখলকৃত মাইক পোস্ট থেকে মিয়ানমার সেনা/বিজিপিকে লক্ষ্য করে ৭/৮ টি মর্টার শেল নিক্ষেপ করে বলে জানা যায়।
উক্ত গোলাগুলির মধ্যে থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তরকুল রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা একটি সিএনজির উপর ফায়ারকৃত একটি গুলি এসে সামনের গ্লাসে পড়ে গ্লাসটি ফেটে যায় বলে সুত্রে জানা যায়,ঐ গাড়ি চালকের নাম আবু তাহের, পিতার নাম মোঃ আনু, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আলম ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুইদিন বন্ধ থেকে আবার তমব্রুর ভিতরে এসে গুলি পড়াতে এবং বিস্ফোরণের উচ্ছ শব্দের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য মিয়ামারে সীমান্ত এলাকা এবং তাদের অভ্যন্তরে চলা বিদ্রোহী গ্রুপ এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের সবথেকে স্পর্শকাতর জায়গা হচ্ছে ঘুমধুমের তমব্রু এলাকা।সম্প্রতি তমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের ভিতর থেকে এসেছে মর্টারশেল এবং অসংখ্য গুলি এবং বিস্ফোরিত গুলির খোসা। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের সঙ্গে ফোনে বক্তব্য নেবার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।