আজ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

নাইক্ষ‍্যংছড়ির চাকঢালা বড় মাদরাসার মুহতামিমের উপর হামলা:প্রতিবাদে জনবহুল মানববন্ধন

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : বুধবার ১০ জানুয়ারী ২০২৪ ০৮:৪১:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির প্রথম কওমী আকিদার চাকঢালা বড় মাদরাসার মুহতামিম ও প্রবীন শিক্ষক মৌলানা আলী আকবরকে হত্যার উদ্দ্যেশে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন করেছে এলাকারব্যবসায়ী 

শিক্ষক-শিক্ষার্থী-রাজনীতিবিদ সহ

সর্বস্থরের সচেতন ব্যক্তিরা। যাতে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবী জানানো হয়। 

বুধবার ( ১০ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪ টায় হামলার শিকার মৌলানা কতৃক ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত 

ঢাকঢালা ইসলামীয়া হামিয়ুচ্ছন্নাহ মাদরাসা ও এতিমখানা গেইট এলাকায় করা এ মানববন্ধনে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মৌলানা কারী ছৈয়দ নূর, ব্যবসায়ী ডা:  ফরিদুল আলম,জাতীয় শ্রমিক লীগের সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি 

ডা: আবদুর রহিম,অত্র মাদরাসা শিক্ষক মৌলানা ছাবের আহমদ,মৌলানা শফিক আহমদ,কৃষক লীগের সদর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,ব্যবসায়ী রশিদ আহমদ,মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আবদুর রহমানসহ পক্ষ-বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মি,সমাজপতি,ইমাম ও ব্যবসায়ী প্রমূখ। 

ঘটনার বিষয়ে মৌলানার একমাত্র ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা জানান,গত ৫ জানুয়ারী বেলা ১২ টার দিকে মানুষ জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সুবাদে স্খানীয় যুবদল নেতা  আবদুল আলম ও তার ভাই আবদুল গফুরের নেতৃত্বে একটি দল মৌলানা আলী আকবরের জমি দখলে নিচ্ছিলো। খবর পেয়ে মৌলানা মোটরবাইক নিয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে গেলে দখলবাজ আবদুল আলমগং তেলে বেগুনে ক্ষেপে গিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রথমে এ ৮১ বছর বয়সী মৌলানার দাঁড়ির গোছা ধরে জোরে জোরে টান দিতে থাকলে তার অনেক দাঁড়ি গোড়া থেকে উঠে মাঠিতেে পড়ে যায়। এভাবে হামলার পর তিনি মাঠিতে লুটিযে পড়লে তার বুকের উপর লাথি-ঘুষি মারতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এ হিস্রদলটি তাকে দা দিয়ে জবেহ করতে উদ্যত হয়। ওনার  চিৎকার শুনে ৩ জন লোক এগিয়ে আসে। 

তারা আরো জানান,এ সময় মৌলানা আলী আকবর অজ্ঞান হয়ে পড়ে। 

দফায় দফায় হামলার পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে মটরবাইক চালক,জয়নাল কৃষক জহির ও ফরিদুল আলম সেই ৩ ব্যক্তি।

এ প্রতিবেদকের কাছে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

অপর দিকে স্থানীয় বাসিন্দা বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ক্যাউচিং চাক বলেন,ঘটনাটি সত্য। তবে ন্যাক্কার জনক। একজন ধর্মপ্রচারককে এভাবে হেনাস্তা করা কোন সভ্য জাতিতে মেনে নেয়া সম্ভব না। এ ঘটনার কঠোর শাস্তি দরকার। 

এ দিকে মানববন্ধনে উপস্থিত সকলের দাবী, হাজার আলেমের শিক্ষক,চাকঢালা বাজার চৌধুরী ও বিজ্ঞ নিকাহ রেজিস্ট্রার 

মুহতামিম মৌলানা আলী আকবের  উপর 

হামলাকারীদের অতিসত্তর প্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। না ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এলাকাবাসী রাজপথে নামবে।