আজ মঙ্গলবার ৭ মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

নাইক্ষ‍্যংছড়ির অবৈধ ইটভাটা গুলো বন্ধ হবে তো? পার্বত্য ৩ জেলা প্রশাসকদেরকে নোটিশ

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৩৫:০০ পূর্বাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

তিন পার্বত্য জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে  জেলা প্রশাসককে নোটিশ পাঠান হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি)। এ নোটিশে  পুরো ৩ পার্বত্য জেলার সকল অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম  ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে দাবী জানানো হয়।  বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ নোটিশ পাঠান বিজ্ঞ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।নচেৎ জেলা প্রশাসকদের বিরুদ্ধে আইনানুসারে ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে যাবেন তিনি।

নোটিশে দাবি জানানো হয়, অতি সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায ৩ পার্বত্য জেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রচার হয়। 

এসব সংবাদ প্রকাশের পর তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসককে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

এ সব জেলা প্রশাসক হলেন,

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।

নোটিসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ তার নোটিশে জানিয়েছেন- গত বছরের জানুয়ারি ও মার্চ মাসে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়া তিন জেলার বিভিন্ন ইটভাটা মালিকরা রিট পিটিশন দায়ের করলে শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রিট পিটিশন খারিজ করে দেন। পরে ইটভাটা মালিকরা আপিল বিভাগে দুটি আপিল দায়ের করলে আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দেন এবং চেম্বার কোর্টে দেওয়া স্থিতি অবস্থা বৃদ্ধি করেননি।

এরপরও ইটভাটা মালিকেরা লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা পরিচালনা করলে 

এ পদক্ষেপ নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তার নিয়ন্ত্রনাধিন এলাকায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ইতিমধ্যে সক্রিয কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি এ-ও বলেন,এখন তিনি একটি ট্রেনিং থাকায় আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার সারাদিন 

নাইক্ষ্যংছড়িতে ৪ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

এতে ২ ইটভাটায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।  এছাড়া অপর ২ ইটভাটার মালিক-কর্মচারি পালিয়ে যাওয়ার এদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।