আজ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নাইক্ষ‍্যংছড়িতে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলনা,মাষ্টার থোয়াছাহ্লা চাক

মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:০৯:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

 

নাইক্ষংছড়ি উপজেলার জন বহুল বাইশারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মধ্যম চাক পাড়া মৃত উক্যজাই চাকের পুত্র মাষ্টার থোযাইছাহ্লা চাক( ৭২)স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলে ও মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি না পেয়ে আজ তিনি হতাশ । ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্র জীবনে নিজের জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সরাসরি শত্রুদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কারী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আজ স্বীকৃতিতো দুরের কথা এই পযর্ন্ত কেউ খোজ খবর নেননি বলে জানিয়েছেন এই প্রতিবেদকের কাছে। সাংবাদিকদের কাছে কথা বলার সময় চোখে মুখে ছিল হতাশার ছাপ। মাষ্টার থোযাইছাহ্লা চাক জানান স্বাধীনতা যুদ্বে ১নং সেক্টরের অধীনে ক্যাপ্টেন মোঃ আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধে অংশ নিয়ে নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের নোয়া মুরুং পাড়ায় তাদের সহযোদ্ধা লাব্রে মুরুং শত্রুদের হাতে তখন প্রান হারায়। ঐ সময় তারা পিছু হটেনি বরং তাদের আক্রমণে রাজাকার বাহিনীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তিনি আরো বলেন ১৯৭১সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার সাথে যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারা হলো রামু উপজেলার রনেশ বড়ুয়া, নুরুল হক (সাবেক চেয়ারম্যান), ইদগড়ের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাংগালী, গর্জনিয়ার মোঃ হাসেম, ইদগড়ের নুরুল আমিন সহ অনেকে। ইদগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাংগালী জানান, মাষ্টার থোয়াইচাহ্লা চাক তাদের সাথে সরাসরি যুূদ্বে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, মাষ্টার থোয়াইচাহ্লা চাক ১৯৭১ সালের যুদ্ধে লামা, ফাঁসিয়া খালী, কক্সবাজারের ঈদগাও এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন। মাষ্টার থোয়াইচাহ্লা চাক জানান, তিনি ইন্ডিয়ান ফোর্স থেকে ২১ দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষন সহ রণ কৌশলগত প্রশিক্ষণ ও নিয়েছেন। ২০০২ সালে উপজেলায় মুক্তি যোদ্ধা বাছাই এ ও তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং মুক্তি যোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে ও তার নাম পাঠানো হয়েছিল। ১৯ ৯৬ সালে জেলা প্রশাসক বান্দরবান থেকে প্রশংসা পত্র ও পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি ৪ ছেলে ২ মেয়ের জনক। তার মুক্তি যোদ্ধার কাগজ পত্র সব কিছু ১৯৭৪ সালে বসতবাড়ি দিনে দুপুরে ডাকাতি সময় ডাকাত দলের সদস্যরা নিয়ে গেছে বলে ও স্থানীয় লোকজন জানান। মাষ্টার থোয়াইচাহ্লা বলেন যদি সঠিক তদন্ত করা হয় মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি তিনি অবশ্যই পাবেন। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, তিনি কিছুই চাননা। তিনি চান শেষ বয়েসে হলে ও মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে এই পৃথিবী থেকে চির বিদায় ।