আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে বিমান ও বোমা বর্ষণের ভয়াবহ আওয়াজ

মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৫ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৫:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

নাইক্ষ্যংছড়ি -মিয়ানমার সীমান্তের ছয়টি সীমানা পিলার দিয়ে এসেছে যুদ্ধ বিমান থেকে নিক্ষেপ করা বোমার ভয়াবহ আওয়াজে,সারা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে সীমান্ত পিলার ৩৫,৩৬,৩৮,৪২,৪৩,৪৪ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের। স্থানিয় ইউপি সদস্য মোঃফরিদ জানান, শুক্রবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চেরার মাঠের ৪২,৪৩ সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি দিয়ে রাত ১১টার সময় ১টি,১১টা ১০ মিনিটের সময় আরেকটি সহ মোট দুইটি মিয়ানমারের আনুমানিক ৩ কিলোমিটার ভিতরে,সম্ভবত পুরান মাইজ্জা ওয়ালিদং এলাকাতে হবে,বড় ধরনের শব্দ করে যুদ্ধ বিমান থেকে নাম অজানা বস্তুর বিস্ফোরণের আওয়াজে কেপে উঠে এলাকার মাঠি,এত বড় শব্দ আগে কখনো শুনতে পাননি বলে তিনি জানান। তমব্রুর ইউপি মেম্বার মোঃ আলম জানান ৩৮,৪৪ পিলার দিয়ে রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান তাদের অভ্যন্তর থেকে উল্লেখিত পিলারের প্রায় কাছাকাছি জায়গা দিয়ে উড়ে গিয়ে মোট চারটি ভয়াবহ শব্দ করে বিস্ফোরণ ঘটায়,এই রকম আওয়াজ জিবনের প্রথম বার শুনেছেন বলে তিনি জানান। দায়িত্বশীল এক গোয়েন্দা সদস্য জানান বিমান থেকে নিক্ষেপিত গোলার আওয়াজ ছিল তীব্র গতি সম্পন্ন,যা ওই এলাকার মানুষ আগে কখনো শুনতে পাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সীমান্ত জনপদের এক বাসিন্দা বলেন মিয়ানমার বাহিনী এখন যে মারমুখী অবস্থায় গিয়েছে তা শুধুমাত্র তাদের অভ্যন্তরে অবস্থান নেওয়া সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মিকে দমন করতে,কখন যে এই বিকট শব্দ করে বিস্ফোরিত গোলাবারুদের আওয়াজ থেকে আমরা যারা সীমান্ত জনপদে বসবাসরত আছি,কবে যে তা থেকে মুক্তি পাব? তমব্রুর স্থানীয় বাসিন্দা সরোয়ার বলেন,তার বুদ্ধি বয়স থেকে এমন ভয়ানক তিব্র শব্দ এই প্রথম শুনতে পেয়েছেন,তার মতে,এমন পরিস্থিতিতে তিনি এবং তার পরিবারের পরিজন নিয়ে চিন্তাই আছেন,কখন আবার বর্ডার এরিয়া ক্রস করে আমাদের জান মালের ক্ষতিসাধন করে বসে। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান থেকে বিকট শব্দ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসেছে সত্য,কিছু মানুষের মাঝে আতঙ্কও রয়েছে।