নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৪/৪৫/৪৬ তিনটি সীমান্ত পিলারের চাকঢালার আমতলী মাট,আষারতলী এলাকার জামছড়ি এবং নুরুল আলম কোম্পানির চাবাগান এলাকা দিয়ে শনিবার রাত ১১টা থেকে রোববার দুপুর ২টা পযর্ন্ত প্রায় ১৬ ঘন্টা পযর্ন্ত টানা হাজার হাজার রাউন্ড গোলাগুলির শব্দ এবং শতশত মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার বাংলাদেশের অংশে বিশালাকারের শব্দে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মোঃ ফরিদ উদ্দিনের ধারণা, উল্লেখিত সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি ৫ কিলোমিটার ভিতরে মিয়ানমারের ফকিরা বাজার নামক স্থানে, সেক্টর এক নামে এবং লালঘাটি নামে পরিচিত বড় একটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে সম্ভবত ঐ সেনা ক্যাম্পে মিয়ানমার সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি হামলা চালিয়েছে। সরকারি বাহিনী এবং তাদের মাঝে অভ্যন্তরীণ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে? জামছড়ি ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ রহমান বলেন,বড় আকারের বিস্ফোরিত শব্দ বাংলাদেশের কয়েক কিলোমিটার ভিতরে এসেছে ভয়ে রাত দুইটা থেকে সকাল পর্যন্ত নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন তিনি,তার ধারণা কম হলেও ৪০ থেকে ৫০ হাজার রাউন্ড গোলাগুলি হয়েছে এবং ৪০০ থেকে ৫০০ এর মত মর্টারশেল বিস্ফোরিত আওয়াজ এসেছে তার এলাকায়।জামছড়ি এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাবের বলেন,মিয়ানমারের ভিতর থেকে গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে তার এলাকার সীমান্ত এলাকার অনেক জায়গা,তবে রোববার দুপুর দুইটার পরে গোলাগুলির আওয়াজ কিছুটা কমে এসেছে। আমতলী মাঠের ব্যাবসায়ী এবং বতর্মান ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদ বলেন,গভীর রাতে বড় আকারের বিস্ফোরণের শব্দে তার ঘুমানোর খাট কেঁপে উঠেছে অনেকবার,ভয়ে সারারাত তিনি ঘুমাতে পারেনি এবং তার এলাকার অনেক কৃষক সিমান্ত এলাকার কাছাকাছি থাকা চাষাবাদকৃত জমিতে দেখভাল করতে যাননি প্রাণ ভয়ে।