নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাইশারী – চাক হেডম্যান পাড়া সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
পাশাপাশি সড়কটি এখন প্রায়ই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
গতকাল ২৫ নভেম্বর বিকালে সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায় বাইশারী বাজার হয়ে চাক হেডম্যান পাড়া সড়কটি আনুমানিক সাড়ে চার কিলোমিটার পর্যন্ত হবে। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকার সড়কটি দীর্ঘ ২ যুগের অধিক সময় পার হলে ও কতৃপক্ষের নজরে আসেনি।
বিগত ১৯৯৬ সালে আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই জনবহুল সড়কের কাজ করেছিলন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ব্রীক সলিনের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ।
তারপর থেকে এই পর্যন্ত কোন ধরনের সংস্কার ও হয়নি। বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দকে ভরে গেছে। উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রাবার শ্রমিকসহ হাজারো মানুষের চলাচল করে থাকেন।
সড়কের উভয় পাশে দশটির মত গ্রামের মানুষের বসবাস। তাছাড়া সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন রাবার বাগানের শ্রমিকেরা কম হলে ও কয়েক লাখ টাকার উৎপাদিত রাবার নিয়ে আসে গাড়ীযোগে এবং কাঁধে বহন করে। পাশাপাশি কৃষি পন্য ফল ফলাদি উৎপাদন হয় প্রচুর পরিমাণ।
তাছাড়া সড়কটির মাঝখানে রয়েছে ফারিখালের উপর দৃষ্টি নন্দন রাবার ড্যাম প্রকল্প। প্রতিদিন শত শত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াত করেন ঐ সড়ক দিয়ে এক কথায় বলতে গেলে সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফারিখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাই লাউ চাক বলেন একটু বৃষ্টি হলে ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে এই সড়কটি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, সড়কটি( ৭, ৮,৯ নং) ৩ টি ওয়ার্ডের মাঝখানে অবস্থিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখন বেহাল দশায় পরিনত।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, সড়কটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তাৎকালীন ব্রীক সলিন ধারা উন্নয়ন করা হলে ও বর্তমানে এল,জি ই ডি র আইডিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অচিরেই মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কার্পেটিং এর মাধ্যমে উন্নয়ন এর কাজ করা হবে।
বাইশারী–চাক হেডম্যান পাড়া সড়কের কাজটি দ্রুত কার্পেটিং ধারা উন্নয়নের জন্য দশ গ্রামের হাজারো মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী হাজারো মানুষ।