বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি'র আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট উপবন লেক ও দূরবীনে এ ঈদে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলা সদরে অবস্থিত এ উপবন লেকে অন্য বছরের চেয়ে এ বছর সবচেয়ে বেশী পর্যটকের সমাগম হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার নতুন পর্যটন স্পট সোনাইছড়ির ইউনিয়নের দূরবীনেও একই অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউপির তরুণ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এ প্রতিবেদককে বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গেল দুই বছর বন্ধের পর এবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে এসছেন পাহাড়ি কন্যা নাইক্ষ্যংছড়ির অপরূপ সুন্দর এ দৃশ্য দেখতে। এবার ঈদের আগে থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি'র প্রধান পর্যটন স্পট লেক নতুন রূপে সাজিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অপরদিকে সোনাইছড়ি নতুন পর্যটন স্পটকে উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ এবং বিজিবি'র প্রচেষ্টায় সেজেছে নবরূপে। এই জন্য এবার ঈদের পর হাজার হাজার পর্যটক নাইক্ষ্যংছড়ির এসব পযর্টন স্পটে ভিড় করছে। লেকের আকর্ষণীয় একমাত্র ঝুলন্ত সেতু, ও দোলনায় ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন চড়েছে হাজার হাজার পর্যটক। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের অবস্থিত উপবন পযর্টন কেন্দ্রটিতে অন্য বছরের তুলনায় এবছর সবচেয়ে পর্যটকের আগমন ঘটে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক সাহেদ,ও বুবলি বলেন,দেশের পূর্ব সীমান্তে এতো সুন্দর একটি লেক আছে বলে শুনে চলে এসেছি। লেকে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য,লেকে ডুকতে দেখলাম ওয়াচ টাওয়ার পুরো পাহাড়ের প্রকৃতির লীলাখেলা অবলোকন করা যায়। অপরূপে ভরা পুরো পাহাড়। তারা আরো বলেন, ঝুলন্ত সেতু আরো মনোমুগ্ধকর। নাট্য মঞ্চ দোলনা, টং ঘর,মাচাং ঘর,আর স্বপ্নীল ডিঙ্গি নৌকার ঢেউ’র খেলার দৃশ্য সবার আকর্ষণ কেড়ে নেয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইউপি মেম্বার আরিফ উল্লাহ ছোট্টো বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদরের লেকসহ বাইশারী,সোনাইছড়ি ও ঘুমধুমে মোট ৫ টি পর্যটন স্পট রয়েছে। এগুলো হলো লেক,দূরবীন,নিলাদ্রী লেক,কুমির প্রজনন কেন্দ্র সহ ৫ টি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এ বছর এসব পর্যটন স্পটে হাজার হাজার লোকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন,সরকারী ব্যবস্থাপনায় একটি মাত্র পর্যটন স্পট আছে, তা হলো উপবন পর্যটন লেক। এবার ঈদের দিন থেকে এখানে আজ পর্যন্ত অনেক লোক এসেছে। এদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। পুলিশ ও আনসার, ভিডিপির সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত আছেন যেন পর্যটকদের কোন সমস্যা না হয়।তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি নতুন হলেও জেনেছি এ বছরই সবচেয়ে বেশী পর্যটক নাইক্ষ্যংছড়ি এসেছে।