নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিদ্রহীদের দেওয়া আগুনে বেশ কিছু ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ ফিরে যাননি। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের বসবাসের ঝুপড়ি ঘর। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর দুই পক্ষের মধ্যে আজও গুলিবিনিময় ঘটেছে। এতে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অন্যান্য দিনের তুললায় উখিয়ার বালুখালী টিভি টাওয়ার, উখিয়ার ঘাট কাস্টমস সংলগ্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বেশি ছিল বলে বিভিন্ন গোয়ান্দা সুত্রে জানা গেছে। অফিস সূত্রে জানা যায়,তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৫৩০ ঘর ছিল। সেখানে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন। তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা দিল মোহাম্মদ বলেন, হঠাৎ একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর ছেলে মেযে নিয়ে পালিয়ে আসি। ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ, কে, এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শূন্যরেখার পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে-ও চরম আতঙ্ক কাটেনি। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, অধিকাংশ রোহিঙ্গার ঝুপড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নিে এই বিষয়ে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-৩৪) অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোন রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।