আজ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালার সেই মানববন্ধনকে মিথ্যা দাবী করে ঘটনার মূল রহস্য জানালেন কৃষক আবদুল আলিম

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ২০২৪ ০৮:১৪:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা বাজারে করা সেই মানববন্ধন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভূক্তভোগী কৃষক আবদুল আলম । তিনি সে দিনে এ মানববন্ধনকে সাঁজানো নাটক দাবী করে বলেন,তিনি একজন কৃষক। দেশের আইনের প্রতি তার বিস্বাস ও আস্থা অগাধ। সে কারণে তিনি জমি-জমা নিয়ে মূখে কিছু না বলে কাগজে সব ধরণের ব্যাখ্যা দেন সাংবাদিকদেরকে।

তিনি শুক্রবার ( ১২ জানুয়ারী)  সকালে ঘটনাস্থল চাকঢালা গয়ালকাটা এলাকায় 

একদল সাংবাদিকদের বলেন,গত ১০ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে করা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা বাজারে তার বিরুদ্ধে করা যে মানববন্ধন হয়েছে তা তার নানা মৌলনা আলী আকবরের সাজানো নাটক। ২৭০ নম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নস্থ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চাকঢালা গয়ালকাটা নামক এলাকায়  তার নানা মৌলানা আলী আকবরের দু'খন্ড জমি ছিল। যার একখন্ড প্রথম শ্রেণির অপর খন্ড তৃতীয় শ্রেণির। এ জমি দু'টি তিনি ২০০০ সালের পরপর এবং ২০১৭ সালের পর সব বিক্রি করে দেন 

তার কাছে এবং অপর স্থানীয় লোকজনকে। 

যার সব কাগজপত্র নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর ও তার কাছে ( আবদুল আলিমের)  সংরক্ষিত রয়েছে। তথাপি এ মৌলানা

নানান শঠতা তথা ধূর্ততার বশবর্তী হয়ে 

সেই বন্ধকী ও বিক্রিত জমি পুনরায় দখলে নিয়ে ভোগদখলের চেষ্ঠা চালান আর একের এক মিথ্যা মামলা করেন তার বিরুদ্ধে সহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে।

সে সব মামলা ও অপতৎপরতার 

কোন কিছুতেই সফল হয়নি সে ।  তদন্তে বার বার হেরে যান তিনি। 

আর জমি দখলে থেকে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর

বাগান ও হাল-চাষ করে আসছেন তিনি।

যা স্থানীয় কয়েক গ্রামের লোকজন জানেন। আর তার করা অনেক  অভিযোগ তদন্তাধিন আছে। 

আবদুল আলিমের দাবী,মৌলানা আলী আকবরের মামলায় হয়রানীতে তার ১ ভাই পো আবদুর রশিদ বান্দরবানের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে গিয়ে ফেরত আসার সময় মৃত্যু বরণ করে। 

 তিনি আরো জানান, সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারী তার সাথে সংঘঠিত যে ঘটনা নিয়ে মৌলানা আলী আকবর মানববন্ধন করিয়েছেন তাও তার ( আবদুল আলিমের) বিরুদ্ধে মামলা করতে একটি সাঁজানো নাটক,মামলার ফাঁদ ও একটি পরিকল্পিত  ষড়যন্ত্র। 

সে দিন মৌলানা সাহেব ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তার সাথে কারও 

মারামারিও হয়নি-ধস্তাধস্তিও হয়নি। বরং তিনি হুমকি দিয়ে আর বকাসকা করে ফিরে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। 

কিন্তু তার বিধি বাম। যে উদ্দ্যেশে তিনি হাসপাতালে ভর্তি  হয়েছিলেন তাতে তিনি সফলতার মূখ দেখেন নি । কেননা মারামারি বা আঘাতের কোন আলামত তিনি দেখাতে পারেন নি হাসপাতালের চিকিৎসকদের । আর সেই কারণেই তিনি কোথাও অভিযোগ দিতেও পারেন নি। পরে কিছু কুচক্রির পরামর্শে পুলিশকে চাপে ফেলতে "একজন আলেমকে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যা চেষ্টা" বলে ব‍্যানার-পোস্টার বানিয়ে মানববন্ধন ও  সাংবাদিকদের  মিথ্যা বক্তব্য ও তথ্য সরবরাহ করে পত্রিকায়  ছাপানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। যাতে এলাকাবাসী হতাশ হন। ঘটনা কাল্পনিক বলে সকলে ব্যাপক সমালোচনা করেন। 

সুতারাং তিনি ( আবদুল আলিম)  মৌলানা আলী আকবর ও তার পরিবার পরিজনের এ  মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান । পাশাপাশি ওনার কথায় বিশ্বাস না করে কাগজ-পত্রে জমির বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনে সাংবাদিক,পুলিশ,গোয়েন্দা  ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সকলের 

বিনীত অনুরুধও জানান আবদুল আলিম ও তার ভাইসহ পরিবার-পরিজন।