নাইক্ষ্যংছড়ির ডলুর ঝিরিতে পর্যটন স্পট যাচাই-এ সরেজমিনে আসলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পযর্টন সচিব মন্ত্রী মো: মোকাম্মেল হোসেন।
তিনি মঙ্গলবান সকাল ১১ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দূর্গম কাগজিখোলার ডলুর ঝিরিতে আসেন। আর স্থানীয় একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন মৎস্য খামারকে সরকারী পর্যটন শিল্প হিসেবে করতে সম্ভাব্যতা যাচাই করে ফেরার পথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যও রাখেন।এতে সভাপতিত্ব করেন
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস।
প্রধান অতিথি এ সময় বলেন,
নাইক্ষ্যংছড়ির সব কিছু সুন্দর।একদিকে পাহাড় অপর দিকে ঝর্ণা-রাবার শিল্প ও সাগর । এখন সময় এসেছে সব শিল্পের বিকাশের। বিশেষ করে পযর্টন শিল্পের বিকাশে সরকার বদ্ধ পরিকর। যে শিল্প হবে সবার সব জনগোষ্টির।
এভাবে পযর্টন স্পট গুলোর বিকাশ হলে অবহেলিত জায়গা আর থাকবে না। সকলের কল্যাণ হবে।
তিনি আরো বলেন,পর্যটন শিল্প এখন সময়ের দাবী,যার ভুমিকা রয়েছে অপরসীম ।
তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির পযর্টন শিল্পের
খাত চিহ্নিত করে তালিকা পাঠানোর জন্যে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ ক্রমে অনুরুধ জানান। তিনি আরো বলেন স্থানীয় প্রশাসনের পাঠানো তালিকা
যাচাই বাচাই করে কোন স্পটে এ পর্যটন এলাকা করলে ভাল হবে তারই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এর পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পর্যটন কর্পোরেশেন ডেপুটি মো: সাইফুল হাসান,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়াই মার্মা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা আক্তার,ইউএনডিপির নাজনিন সুলতানা,মো:আলম চেয়ারম্যান,ডা: সুলতান সিরাজি,ট্যুয়াকের আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য প্রতিনিধিকে কোন ধরনের
আমাগ সংবাদ ছাড়া একজন সিনিয়র সচিব গভীর বনে নিয়ে যাচাই-বাচাই এর আগে টুয়াক নিলাদ্রী লেক উদ্বোধন করা হচ্ছে এমন গেইট-ব্যানার টাংগিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করায় স্থানীয় অনেকের মাঝে বিরুপ মন্তব্য করতেও দেখা গেছে।
তারা বলেন, উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য ভাল হলে সচিব মহোদয়কে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হয়ে পূর্ব পরিক্ল্পনা মাফিক পার্বত্য মন্ত্রী-উপজেলা চেয়ারম্যান-স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্ব করতেন। যা করা হয় নি। অনেকটা তড়িঘড়ি করে করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টুয়াকের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার কামাল বলেন,আসলে উদ্বোধনের গেইট করা হয়েছে সত্য।
মূলত যাচাই বাচাই করেছেন সচিব মহোদয়। তবুও তিনি তার সাবেক সেক্রেটারী সাহেব এটি কেন,কিভাবে করেছেন জেনে নিয়ে এ প্রতিবেদকে জানানোর পর তার মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।