বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত দুই দিনের অবরোধকে কেন্দ্র করে গভীররাতে ২ টি ককটেল বিষ্ফোরন ও ২ অবিষ্ফোরিত ককটেল হামলার চেষ্ঠার অভিযোগ এনে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এ মামলায় ২০ জন বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আরো ১৮/২০ জনের কথাও উল্লেখ করা হয় এ মামলায়।
পুলিশ জানান,শনিবার রাতে অভিযোগ দায়েরের পর উপজেলা সদর থেকে এক বিএনপি নেতাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার ( ৫ নভেম্বর) ভোররাতে বিএনপির একাংশের সভাপতি আরিফুল্লাহ ছুট্টুকে গ্রেপ্তারের পর জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ আরো জানান,আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে শনিবার রাত ১০ টার দিকে
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: শফিউল্লাহর বাস ভবনের সামনে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কে ককটেল ফাটিয়ে ও টায়ারে আগুন জ্বলানো আর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঝটিকা মিছিল করে শান্ত উপজেলাকে অস্থিতিশীল করে তোলার অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
তিনি আরো বলেন,ঘটনার প্রেক্ষিতে এসব নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি মুহাম্মদ আরেফ উল্লাহ ছুট্টুর নাম রয়েছে। যাকে রোববার ভোর সাড়ে ৩ টায় মামলায় গ্রেফতার করা হয়। থানা সূত্রে আরো জানা যায়, ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে আগুণ জ্বলিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হরতাল-অবরোধ পালন করার উদ্দেশ্যে কতিপয় দুষ্কৃতকারী দেশের সম্পদ নষ্ট,রাস্তা-ঘাটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির অবনতি, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছিলো। এ সব অপরাধে জড়িতের বিরুদ্ধে এ দায়ের করা হয়।
যার নং-২/২০২৩ইং। তারিখ-৪ নভেম্বর '২৩।এদিকে এ মামলা দায়েরের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসহ ৫ ইউনিয়নের বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মিরা 'গা ঢাকা দিয়েছে। তারা এখন লাপাত্তা।