নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী সীমান্তে ৩১ নং সীমান্ত পিলার দিয়ে আসা মিয়ানমারের মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশি এক নারী ও এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার ১০ মিনিটের সময় এ
ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম হোসনে আরা (৫৫)।
তিনি ঘুমধুম ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার স্ত্রী বলে জানা গেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে হোসনে আরা এবং এক রোহিঙ্গা শ্রমিক কাজ করছিলেন। কাজ শেষে ক্ষেত সংলগ্ন বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে বসেন রান্না ঘরে,ঠিক সেই মূহুর্তে মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে তাদের শরীরে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই হোসনে আরার মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় রোহিঙ্গা হাসুকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওই শ্রমিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১০ এর বাসিন্দা বলে জানা যায়। সীমান্ত এলাকার স্থানীয় মোঃ আবছার জানান,সকাল থেকে প্রায় সারাদিন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টার সীমান্তের কাছাকাছি এসে বহুবার প্রতিপক্ষ আরকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবারুদ নিক্ষেপ করেছেন,ঐ গোলাবারুদের একটি মর্টারশেলের কিছু অংশ তমব্রুর দিল মোহাম্মদের বাড়ির পিছনে দিনের তিনটার সময় এসে মাটিতে পড়ে,এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।অপর আরেকটি সুত্রে জানা গেছে গত ৩ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি তমব্রুর ৩৪ সীমান্ত পিলার এলাকার মিয়ানমার বিজিপির রাইট ক্যাম্প ২ তে,প্রায় ১৮ ঘন্টা পযর্ন্ত চলা আরকান আর্মি এবং বিজিপির মাঝে সংর্ঘষে ঠিকতে না পেরে দিনের এবং রাতের বিভিন্ন সময় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বিজিপির ৯৮ জন সদস্য তমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন,যার মধ্যে অনেকেই আহত অবস্থায় রয়েছেন তাদের মধ্যে ১৬ জন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে। সীমান্তের কাছাকাছি গত কয়েকদিন ধরে চলে আসা তুমুল সংঘর্ষের গুলি মর্টারসেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে মানুষের যানমালের ক্ষতি করার কারণে সীমান্তের কাছাকাছি থাকা হাজার হাজার মানুষের মাঝে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।