পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি হিসেবে একটি অস্থায়ী বিশ্রামাগার (ট্রানজিট ক্যাম্প) ও একটি প্রত্যাবাসন শিবির (রিপ্যাট্রিয়েশন ক্যাম্প) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অস্থায়ী বিশ্রাম ও প্রত্যাবাসন শিবির করা হচ্ছে বলে শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের মংডু জেলার উত্তর-পশ্চিমের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে ধাপে ধাপে।
পক্ষান্তরে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, ঘুমধুম ও তুমব্রুতে কোন ক্যাম্প করা হলে তারা আন্দোলনে নামবে। কেননা এর আগে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য করা ঘুমধুমে ক্যাম্প ও স্থাপনা নিয়ে তাদের আগে থেকে অভিযোগ ছিলো। কেননা পার্বত্যাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প করা হলে পাহাড়ের ৩ পার্বত্য জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, উপরের নির্দেশ মতে সরকারের খাস জমিতেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সময় ২৭৬ নম্বর ঘুমধুম মৌজায় ২০ শতাংশ জমির ওপর প্রত্যাবাসন ক্যাম্প করতে ১খন্ড জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর ২৭১ নম্বর তুমব্রু মৌজাতে ৩ একর ৩০ শতাংশ জমিতে ট্রানজিট ক্যাম্পের জন্যে অপর একখন্ড জমি বরাদ্দ দিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসন। যে ক্যাম্প দুটিই সম্পুর্ন অস্থায়ী ভাবে করা হচ্ছে।