আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

নাইক্ষংছড়ি সরকারী কলেজ ক্যম্পাসে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে ২ ছাত্র আহত,সড়ক অবরোধ-৬ ঘন্টা,আটক-১

মোঃইফসান খান ইমন,নাইক্ষ্যংছড়ি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১১ জুন ২০২২ ০৮:৩৭:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

নাইক্ষংছড়ি সরকারী কলেজ ক্যম্পাসে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে  ২ ছাত্র গুরুতর  আহত আহত হয়েছে। আহতরা হলো-শহিদুল কামাল (১৭) সে  কাউয়ারখোপের নুর মোহাম্মদের ছেলে।

অপরজন আক্তার হোসেন (১৭)। সে একই  এলাকার আবদুচ্ছামাদের ছেলে। এদের একজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার জের ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি- রামু অবরোধ অবরোধ করে রাখে আহতদের সমর্থকরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে। তার বাড়ি পার্শবতী রামু কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতির পাড়ার মৃত নুরুল ইসলাম সিকদারের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় থেকে বেলা ৩ টার মধ্যে।

নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে।

  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,আটক রাকিব আহত, শহিদুল ও আক্তার প্রথম বর্ষে পড়ে। তারা তিন জনের মধ্যে ২ জনের দ্বন্দ্ব অতিব্যক্তিগত। এ নিয়ে গত ৪ দিন আগে আরো একবার কথা-কাটা হয় দু'জনের মধ্যে। যা সবাই জানে। কিন্তু বিষয়টি এড়িয়ে যান সর্বস্থরের কতৃপক্ষ।

 এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন,তিনি বাড়ি থেকে পরিষদ কার্যালয়ে আসার পথে সকাল ১০ টার পরে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে তিনি সে খানে গিয়ে দেখেন

ক্যাম্পাসে দু' দলছাত্র মূখোমূখি। জানতে চাইলে একদল শিক্ষার্থী বলেন,২ ছাত্র ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা। এরই মধ্যে কলেজ কতৃর্পক্ষ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিব নামের এক ছাত্রকে আটকে রাখে একটি কক্ষে। পরে থানা পুলিশ থাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। আর আহতদের চিকিৎসার জন্যে 

প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি পরে চট্টগ্রাম রেফার করেন চিকিৎসরা। 

 

কলেজ অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম 

বলেন,মূলত আটক রাকিবুল ইসলাম (১৭) প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে খুবই উচ্ছৃঙ্খল। ছাত্রীদের সাথে ইভটিজিং করার বিষয়ে তাকে শাসানো হয়েছিল এবং সতর্ক করে দেয়া হয়েছিলো।

কিন্তু এরপরে ও  কলেজ ক্যাম্পাসে নিরীহ ছাত্রদের ছুরি মেরে গুরুতর আহত করা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

 অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,পুলিশ ঘটনায় হাত দিয়েছেন। তারা নিরেপক্ষ তদন্ত করে কী বের করে দেখা যাক। 

বিষয় নিয়ে আহতদের  পরিবার একজন ইমাম হোসেন ইমরান বলেন,আহতের একজন তার ছোটভাই। সে এখন ককসবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  অবস্থা তত ভালো না। অপর আহত ছাত্র তারই এলাকার মেধাবী আর এক ছাত্র তার নাম শহিদুল কামাল।

তার অবস্থা আশংকা জনক। তাকে পেটে এবং কাঁদে আঘাত করা হয় ধারালো ছুরি দিয়ে। তার অনেক রক্তক্ষণ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজের ফিউচার অন্ধকার। কাউয়ারখোপের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী এ কলেজে পড়ে। এখন তারা আতংকে। ২ মেধাবী শিক্ষার্থীকে কলেজের ক্লাস রুমে ছুরি মেরে গুরুতর আঘাত করা হলো অথচ কলেজ প্রিন্সিপালের কোন ভূমিকা নেই।

গত ৯ তারিখ ও এর আরো আগে কয়েক রাকিব নামের এ ছেলে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রিদের আতংকগ্রস্ত করলো,হুমকি-ধমকি দিলো কিন্তু তাতে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা কলেজ কতৃপক্ষ নেন নি। 

 সড়ক অবরোধ প্রসংগে তিনি বলেন,কাউয়ারখোপের অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষ শনিবার সকাল ১২ টা

 থেকে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল সাহেবের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন।

 নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ 

টানটু সাহা বলেন,আটক ছাত্র রাকিব (১৭) নাবালক হলেও তাকে ছাড়া যাবে না। আহতদের পরিবার বা কলেজ কতৃপক্ষ যেই হোক,মামলা বা অভিযোগ করলে আইনী ব্যস্থা নেয়া হবে।