আজ শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

ড. কামালকে ইমাম বানিয়ে বিএনপির সব চিন্তাভাবনা ধূলিসাৎ: মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৩ অগাস্ট ২০২২ ০৩:১৬:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

 

গণফোরামের একাংশের প্রধান ড. কামাল হোসেনকে ইমাম মেনে বিএনপির সব চিন্তাভাবনা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সরকার ইভিএমে নির্বাচন করতে চায় কেন?’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।

সভায় মোশাররফ বলেন, বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় দল গিয়ে ড. কামাল হোসেনকে ইমাম বানিয়েছিলো। কিন্ত নির্বাচনের আগে, তিনি বললেন নির্বাচনই করবেন না। এই ফ্রন্টে আমরা এত কষ্ট করে যে রূপরেখা বানালাম ড. কামাল হোসেনের নির্বাচন না করার কারণে আমাদের সকল ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা সেদিন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ফলে বিএনপির মতো একটি দলকে এই ফ্যাসিবাদ সরকার পাঁচ বা ছয়টি আসন দিয়ে বিদায় করে দেয়।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী অন্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। তাদের মতামত নিয়ে আমরা এটা সমৃদ্ধ করতে চাই। সেজন্য এখনো সেই রূপরেখা জনগণের সামনে আসেনি। আজকেও আমাদের মহাসচিব একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এই আলোচনা শেষে অবশ্যই আমরা দেশে একটা মঞ্চ করতে পারবো। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করতে পারবো কী না, এর একটা সিদ্ধান্ত হবে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন,আমরা বলেছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই সরকার আগামী ২৩ এর নির্বাচন করে যেতে পারবে না। বর্তমান ফ্যাসিবাদ ও গায়ের জোরের সরকারের নির্বাচন কমিশন সংলাপের নামে নাটক করছে। আমরাসহ আরও কয়েকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই সংলাপে অংশ নেয়নি।

‘সংলাপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপরীতে মত দিয়েছে। আমরাও সেটা চাইনা। সুতরাং বিষয়টির এখানেই মীমাংসা হওয়া উচিত। যে দেশের মানুষ নিজের হাতে ভোট দিতে পারেনা, তারা কিভাবে মেশিনে ভোট দিবে? এই ব্যবস্থা তো বিশ্বে বাতিল করা হয়েছে। কারণ এটা মানুষের তৈরি। সুতরাং এটা দূরভিসন্ধিমূলক। এটা ভোট ডাকাতির মেশিন।’

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি নাকি লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আজ ছয় থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এখন তিনি বিএনপিকে হারিকেন দেওয়ার কথা বলছেন। আরে সেটা করতেও তো চার-পাঁচ কোটি হারিকেন কিনতে হবে। সেই টাকাও তো এখন তাদের নেই। আজ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সবক্ষেত্রে সংকট চলছে। শ্রীলংকার মতো সংকট এখন বাংলাদেশেও। এটা তো বেশিদিন লুকিয়ে রাখা যায় না। সময় আসছে বাংলাদেশে সেই অবস্থা দেখবেন।’

‘এখন শুধু রাস্তায় মানুষের ঢল নামা বাকি। আমরা রাস্তায় সংকটের সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ। সেই ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। ইয়াহিয়া খানের মতো শাসক টিকতে পারেনি। সুতরাং কারফিউ বা অন্য কোনোভাবেই ক্ষমতা রক্ষা করতে পারবেন না। রাস্তায় নামলে তদের পতন হবেই হবে।’

‘শ্রীলংকায় দুই ভাই ১৮ বছর শাসন করেও শেষ রক্ষা হয়নি। অতএব রাস্তায় নামার বিকল্প নেই। মানুষ দুরবস্থার মধ্যে আছে। তারা একটা পরিবর্তন চায়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছি। আমাদের রূপরেখা জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। কীভাবে আন্দোলন হবে, সেই বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’