মহান বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির লংগদুতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে একঘন্টা অবরুদ্ধ করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে যুব ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ের ৯টার দিকে উপজেলার শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সংগঠনের অন্তত ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
শুক্রবার সকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের শিক্ষা ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক রুদ্র মোহাম্মদ জিয়াদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
বক্তব্যে রুদ্র মোহাম্মদ জিয়াদ বলেন, সকালে লংগদু উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে ভিপি নূরের সমর্থকরা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এ সময় তাদেরকে শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা দেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা বাবলু দাশ বাবু ও তার কর্মী-সমর্থকরা। পরে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে স্থানীয় একটি রেস্টহাউজের তিনতলার একটি রুমে অবরুদ্ধ করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পায়। তবে, পুলিশ প্রশাসনের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও তারা কোন ভুমিকা রাখেননি। বক্তব্যে জানানো হয়, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এ দেশে সকল মতাদর্শের মানুষের যার যার পছন্দের দলের রাজনীতি করার অধিকার আছে। কিন্তু বিজয় দিবসে ফুল দেয়া নিয়ে যে ঘৃণ্য কর্মকান্ড তারা ঘটিয়েছে তার জন্য ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের জোর দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সদস্য আল মাহবুব, ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, লংগদু উপজেলার আহবায়ক ফরহাদ সরদার, সদস্য আমির হামজা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, লংগদু থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় দুটি সংগঠনের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।