চরাঞ্চলে গরু-মহিষের চারণভূমি রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে তিন শতাধিক খামারি। শনিবার (১১ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চলের বেজা অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
খামারি সাইফুল ইসলাম, রবি বলি, বাবুল সওদাগর জানান, ইছাখালী, মিঠানালা, মঘাদিয়া, ওঢ়মানপুর, সাহেরখালী ইউনিয়নের খামারিদের পালিত গরু-মহিষসহ গবাধি পশু বছরের পর বছর চরাঞ্চলের বেড়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর হওয়ার পর জমি অধিগ্রহণের ফলে পশুর চারণভূমি নেই বললে চলে। এতে করে গবাধি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এখানকার খামারিরা।
তারা আরও বলেন, আমদের বাপ-দাদার আমল থেকে পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। এখন যদি পশু পালনের স্থান না থাকে তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
জানা গেছে, মিরসরাইয়ের উপকূলীয় চরাঞ্চল ছিল গবাদি পশুর উর্বর চারণভূমি। উপযুক্ত চারণভূমি থাকায় অন্যতম অর্থকরী সম্পদের মধ্যে মহিষ ছিল অন্যতম। চরাঞ্চলের জমি অধিগ্রহণের কারণে চরমভাবে হুমকির মুখে গবাদিপশুর চারণভূমি। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় গরু-মহিষ পালনকারীরা।
এলাকার বাসিন্দা মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, চরাঞ্চলের মহিষের দুধ থেকে উৎপাদিত দইয়ের জনপ্রিয়তা সমগ্র চট্টগ্রামজুড়ে। মহিষের দুধ ও দই বিক্রি করে সংসার চালায় চরাঞ্চলের শত শত মানুষ।
পরে সেখানে গিয়ে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন, মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান, ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তাফা প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, সরেজমিনে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বনবিভাগ যদি তাদের জায়গায় পশু বিচরণের বাধা দেয় তাহলে কিছু করার নেই। আমি খামারিদের সরকারি খাস জমি দেখতে বলেছি। সেখানে পশু চারণের ব্যবস্থা করা হবে।