কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া বাজারে সড়কে কৃষি পণ্যের হাট, আর বাজার সেট গুলো অবৈধ দখলদারদের কবলে। একারণে একদিকে কৃষকেরা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত, অপর দিকে সড়কে যানজটে দিশেহারা ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষ। বিষয়টি বিগত ১ যুগ ধরে চললেও নানা জটিলতায় এর কেন বিহিত ব্যবস্থা হচ্ছে না।
ফলে রামুর কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নসহ সীমান্তের ৫ হাজার কৃষক ও দেড়লক্ষ ভোক্তা বিপাকে দিন যাপন করছেন।
আর এ বিষয়টি বর্তমানে চরমে পৌঁছলে বাজার ইজারাদার নিজেই
এ দূর্গম পরিস্থিতির বিপরীতে বিধি মোতাবেক কৃষকের বাজার কৃষকের হাতে ফেরৎ দিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
সম্প্রতি দেয়া এ চিঠিতে ইজারাদার নূরুল ইসলাম আরো বলেন,তিনি ১৪২৮ বাংলা সনের ইজারাদার। যার স্বারক নং ৫-২০-১২.২৬.২২৬৬.
১৫.১৬.১৮-৩০-৩০৬নং ৩০/৩/২০২১।
বর্তমানে এ বাজারের খোলা জায়গা ও সরকারী প্লটগুলো উশৃংখল কিছু লোক দখল করে রাখে। যাতে করে কৃষকরা বাজারে ঢুকতে পারে না। নিজেদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রি করেন পথে-ঘাটে-রাস্তায়। যাতে তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন । লোকসান গুনেন প্রতিনিয়ত।
তাই তিনি বাজারটি স্থানীয় কৃষকদের গ্রুথ সেন্টার হিসেবে বাজার রাস্তা থেকে বাজার সেটে বসার সুযোগ দিতে জেলা ও উপজেলার উর্ধ্ব মহলে আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এ দিকে স্থানীয় কৃষক ফাক্রিকাটার সৈয়দ আহমদ,তিতার পাড়ার শাহজাহান,আবদুল্লাহ কচ্ছপিয়ার মনির আহমদ গর্জনিয়া বোমাংখীলের আবদুর রহমান,রশিদ আহমদসহ অসংখ্য কৃষক জানান,
তারা রাস্তায় আর যারা কৃষক নয় তারা কৃষকের সেটে কৃষক উৎপাদিত পণ্য অর্ধ-মূল্যে ক্রয় করে দ্বিগুণ মূল্যে ভোক্তাদের বিক্রি করে প্রকাশ্যে । যারা প্রভাবশালী ও অবৈধ দখলদার। যারা ইজারাদারদের ম্যানেজ করে সেটের অস্থায়ী স্থানে স্থায়ীভাবে স্থাপনা তৈরী করে দোকান খোলে বসেছেন। যার কারণে তারা রাস্তায় বা পথে-ঘাটে বিক্রি করেন তাদের ঘাম ঝরানো পণ্য। অপরদিকে সারা বছর যানজটে দিশেহারা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছোট বড় পরিবহন শ্রমিকরাও। সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় চলা সেনাবাহিনীর মহড়ায় আসা যাওয়ার গাড়ি গুলোও প্রতিদিন এ যানজটের কবলে পড়ে ভুগান্তির শেষ নেই। এবিষয়ে
স্থানীয় পুলিশ, লোকাল প্রশাসন বারবার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাই এলাকাবাসীও উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।