দিঘীনালা উপজেলার জারুলছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ৪টি সামরিক ব্যারাক, ২টি ডিউটি পোস্ট ও ১টি অস্ত্রাগার ধ্বংস করে। এসময় বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৪ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক ভোর ৫ টার সময় দিঘিনালা জোনের অন্তর্গত জারুলছড়ি নামক এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের সন্ত্রাসীরা উক্ত এলাকায় অস্থায়ী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। সেখানে তারা নতুনভাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নতুন সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। স্থানীয় জনগনের মধ্যে নতুনভাবে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরী করা, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে অহেতুক হয়রানি ও মারধর করা ছাড়াও নানাবিধ অসামাজিক অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পরিকল্পনায় দীঘিনালা জোন কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাত ৪ টার সময় দীঘিনালা জোনের অপারেশন দল অভিযান পরিচালনা করে। সিকিউরিটি ফোর্সের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা আকস্মিকভাবে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করতে থাকে। সেনাবাহিনীর অভিযান দল তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে ধাওয়া করে। ফলে সন্ত্রাসী দলটি তাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে রক্ষিত সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ রেখেই পিছু হঠতে বাধ্য হয়। এসময় তল্লাশী চালিয়ে উক্ত ক্যাম্প থেকে অভিযান দলটি সন্ত্রাসীদের ব্যবহারকৃত ইউনিফর্মের অংশ বিশেষ, সন্ত্রাসীদের দলীয় নামীয় তালিকা, চাঁদা আদায় সংক্রান্ত নিয়মের নির্দেশিকা ও ২ (দুই) টি এলএমজি’র ওয়াই স্টিক উদ্ধার করে। এই অভিযানের মাধ্যমে সেনা সদস্যরা সন্ত্রাসীদের ৪ (চার) টি ব্যারাক ও ২ (দুই) টি ডিউটি পোষ্ট ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করে।