বেশী মুনাফার আশায় অবৈধভাবে গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরীর অপরাধে মোটা মোটা জরিমানা গুনলেন খাগড়াছড়ি জেলা শহরের এক ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. নিজাম উদ্দিন। যদিও সবাই তাকে চেনেন নিজাম সওদাগর নামে। খাগড়াছড়ি জেলা শহরের নারায়ণ মন্দির সংলগ্ন নিজাম স্টোরের সত্ত্বাধিকারী তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন খাগড়াছড়ি’র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে.এম ইয়াসির আরাফাত। এসময় সেখান থেকে জব্দ করা হয় অবৈধভাবে মজুদ করা ৩ হাজার ৭’শ লিটার সয়াবিন তেল। এই অপরাধে অর্থদণ্ড দেয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। দণ্ডকৃত অর্থ আদায়ের পাশাপাশি জব্দকৃত তেল ভোক্তাদের কাছে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। আর অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সেই তেল সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ন্যায্য দরে বিক্রিও করতে হয়েছে ব্যবসায়ী নিজাম সওদাগরকে।
অভিযান পরিচালনাকারী খাগড়াছড়ি’র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে.এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নিজাম স্টোর থেকে ৩ হাজার ৭’শ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছি।’
তিনি আরও জানান, ট্রেডিং লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে ভোজ্যতেল বিক্রি করে আসছিলো নিজাম স্টোর। অবৈধভাবে তেল মজুদ করে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছিলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী মো. নিজাম উদ্দিন।
অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান শাকিল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ্ আল-ইমরান ও কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস এর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রউফসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের ৮-ই মার্চ একই অপরাধে ব্যবসায়ী নিজাম সওদাগরকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছিলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপীয়া সুলতানা লীজা।