খাগড়াছড়ির আনন্দনগরে শেলী দেবী দেবনাথ (৩৬) নামে এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ির আনন্দনগর শোভানীড় নামের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারনা করা হচ্ছে। শেলী দেবী দেবনাথ এর স্বামী ধনা চরন দেবনাথ খাগড়াছড়িতে ১৫ আনসার-ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার বলে জানা গেছে। তিনি ব্যক্তিগত কাজে ধনা চরন দেবনাথ চট্টগ্রামের বাঁশখালি যান। শেলী দেবী দেবনাথ দুই সন্তানের জননী। তারা ভারতের ত্রিপুরায় দুই ছেলে পড়ালেখা করছেন বলে জানায় তার স্বামী। তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রীর সাথে রাতের ৮টার পরও তার সাথে ফোনে কথা হয়। তবে কেন বা কে এমন ঘটনা করলো তা নিয়ে তিনি আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন। ভাড়া বাসার শোভা নীড়ের মালিক পরিতোষ দত্ত জানান, শেলী দেবী দেবনাথ স্বামীসহ এ বিল্ডিং এর ৫ম একটি কক্ষে থাকতো। আজ তিনি নিজের কাজে চট্টগ্রামের বাঁশখালি যান। একাধিক বার কল করেও স্ত্রী ফোন রিসিভ না করায় আমাকে বাসায় বিষয়টি দেখতে বলেন। পরে অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়ে আমি কক্ষের দরজা ভাঙ্গী। এক পর্যায়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে এই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে বলে তিনি জানান। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মংনু মারমা বলে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে গৃহবধূ ঝুলন্ত লাশ দেখে বিয়ষটি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা ও সদর থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি বলেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাড়া বাসায় ফ্যান টাঙানোর সিলিং এর সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতারে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।