খাগড়াছড়িতে সকাল ৮ টা থেকে ১৯৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। সদর কেন্দ্রিক ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বেশি দেখা গেলেও প্রত্যন্ত উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকায় ভোটার উপস্থিতি ছিলো অনেকটাই কম।
জেলা শহরের মুসলিম পাড়া ভোট কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে নারী-পুরষের ভোটের লাইন দেখা গেছে। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৫০৮ ভোট। জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকার খবং পুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোয়া ৮ টার দিকে প্রথম ভোট পড়ে। ২০৮৯ ভোটার সংখ্যার এ কেন্দ্রে সকালের দিকে কোনো ধরনের ভোটার লাইন দেখা যায়নি। সকাল পৌনে ১০টায় খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন স্কুলে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি অতিনগন্য। ২৯৫৮ ভোটের মধ্যে পড়েছে মাত্র ১৫০টি।
এদিকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ১২টি কেন্দ্রর মধ্যে ৫টি কেন্দ্রই দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ওই ভোট কেন্দ্রগুলের সাথে মোবাইল নেটওয়ার্ক যোগাযোগ নেই। খোঁজ নিয় জানা যায়, ভোট শুরুর পর থেইে ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম। দুল্যাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাড়ে ৪ঘন্টায় ভোট পড়েছে ৩০০টি। এ কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা ১৫৫ ভোট। লক্ষ্মীছড়ি সদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৫০। ভোটার সংখ্যা ১৪৫৪ভোট। লক্ষ্মীছড়ি কলেজে ভোট কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৬৬টি। ভোটার সংখ্যা ১৮৬৬টি। দুল্যাতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪০০টি। ভোটার সংখ্যা ১৯৫২ ভোট। লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের মংহলা পাড়া ভোট কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৩২০ভোট। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৭৫৮ ভোট। জানা যায় মাগ্রাছড়ি এলাকায় সকালের দিকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। এদিকে লক্ষ্মীছড়ি যতিন্দ্রকারবারী পাড়া, কুতুপছড়ি ও বর্মাছড়ি এলাকার কেন্দ্রগুলো ছিল ভোটার শুন্য। বেলা ১২টা পর্যন্ত লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাচন কন্ট্রোল রুমের তথ্য্য অনুযায়ি ভোটার পড়েছে ৪হাজার ৬২৮ ভোট। শতকরা হার ২১.৮৫%। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২১হাজার ১৮৫ ভোট।
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশৈ প্রæ মারমার অভিযোগ, কয়েকটি কেন্দ্রের আশপাশে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অপর দিকে জাতীয় পাটির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজার অভিযোগ বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে তিনি ভোট বর্জন করবেন। এবার খাগড়াছড়িতে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪’শ ১৯ জন। ভোটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মাঠে আছে আনসার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেট।
